নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিবৃষ্টি। আর তাতেই ফের ভাসল জেলা প্রশাসনিক কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতাল চত্বর। পাশাপাশি জেলাসদর তমলুক শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে …
নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিবৃষ্টি। আর তাতেই ফের ভাসল জেলা প্রশাসনিক কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতাল চত্বর। পাশাপাশি জেলাসদর তমলুক শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় তীব্র সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি এমনই যে তাম্রলিপ্ত পৌর এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে পাম্প বসিয়ে জল নিষ্কাশনের কাজ চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর। সম্প্রতি জশ ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় আগ্রহ বেসামাল পরিস্থিতি জেলাবাসীর। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে এখন হিমশিম অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার ভৌগোলিক অবস্থানগত ভাবে অপেক্ষাকৃত হওয়ার দরুন বৃষ্টির জল দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকছে। সেই সঙ্গে সুপরিকল্পিতভাবে জল নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া একের পর এক চাষের জমি কে মাছের ভেড়ি তে রূপান্তরিত করে মাছ চাষের জন্য ও এই জল নিকাশি ব্যবস্থা বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতেই সম্প্রতি বৃষ্টির জেরে প্রায় ভরাডুবি পরিস্থিতি গোটা তমলুক শহর। বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক হলেও তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১, ১৪ ১৮, ১৯, ৮ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় জলের তলায়। এছাড়াও আংশিক ভাবে এই অতিবৃষ্টির জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড। এর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বর থেকে শুরু করে তমলুকের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক ভবন চত্বর এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই তড়িঘড়ি করে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পক্ষ থেকে ১২ টি পাম্প অতিরিক্ত বৃষ্টির জল বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছে। টানা এই বৃষ্টির জলে বানভাসি অবস্থা তৈরি হয়েছে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন চত্বরে এলাকা।জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতি তিনটি হোম ক্যাম্পাস সহ ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ চত্বর। যা নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে বাসিন্দাদের। অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা দিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে জেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনীয় নিকাশি ব্যবস্থা এখনো অবধি গড়ে ওঠেনি। তার জেরেই বৃষ্টির জল জমে গিয়ে চরম দুর্ভোগ তৈরি করছে। এ বিষয়ে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, গত এক দিন ধরে টানা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বারোটি পাম্প বসিয়ে দ্রুততার সঙ্গে জল নিষ্কাশন এর কাজ চলছে।