Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বর্ষায় লাল মোরামে রাস্তার বেহাল অবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে সমস্যা। তাই পরিত্রান পেতে ফেলা হয়েছিল লাল মোরাম। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই তমলুকের গ্রামীণ পথটি একেবারে দধি কাদায় দুর্ভোগ চরমে ওঠায় ক্ষুব্দ এলাকার বাসিন্দারা।
তমলুক …

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে সমস্যা। তাই পরিত্রান পেতে ফেলা হয়েছিল লাল মোরাম। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই তমলুকের গ্রামীণ পথটি একেবারে দধি কাদায় দুর্ভোগ চরমে ওঠায় ক্ষুব্দ এলাকার বাসিন্দারা।


তমলুক ব্লকের নিলকণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরশংকর এলাকা। তমলুক পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক থেকে এই গ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত গ্রামীণ রাস্তাটি প্রায় ৫০০মিটার রাস্তা মোরাম এর কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যেটি আবার একদিকে পাঁশকুড়া এবং অপরদিকে হলদিয়া মেছাদা জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

 ফলে আপাতদৃষ্টিতে গ্রামীণ এলাকা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, তমলুক পাঁশকুড়া কোলাঘাট ও শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর মেছাদা ভোগপুর রঘুনাথবাড়ি রাজগোদা স্টেশন যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী এই রাস্তাটি। কিন্তু দীর্ঘ এই পথের মাঝে হরশংকর এলাকায় মাত্র ৫০০মিটার রাস্তাটি কোনো এক অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ভোগান্তির মধ্যে থেকেও রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গরূপে সংস্কার হচ্ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ। 

এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর ক্ষোভের কথা আজ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে এই ৫০০ মিটার বেহাল রাস্তায় চলাচল যোগ্য করে তুলতে সম্প্রতি মোরাম ফেলা হয়। কিন্তু তাতে আবার নতুন করে বিপত্তি ঘটে। সামান্য বৃষ্টিতেই এই মরামের পথ পেরিয়ে যেতে গিয়ে দধি কাদা দুর্ভোগের মধ্যে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে রাস্তাটি কংক্রিটের নির্মাণের জন্য সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা মদন মাইতি, যহর জানা, প্রশান্ত সামন্তরা বলেন, বৃষ্টি হলে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে প্রায় ঘর বন্দী দশা। রাস্তা খারাপের জন্য প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। ছেলে মেয়েকে স্কুল কলেজ যেতে কিংবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে যেতেও খুব বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। 

কারণ এই পথেই জেলা হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চাঁইপুর, বাহারপোতা, হিরাপুর, হরশঙ্কর গ্রামের মানুষজনের একমাত্র ভরসা। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গরূপে কংক্রিটের করা হোক। এ বিষয়ে নিলকণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক পাইক বলেন, আর্থিকভাবে পঞ্চায়েতের পক্ষে এত বড় রাস্তার কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।