Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রবীন্দ্রনাথের শিশু চরিত্র

রবীন্দ্রনাথ এর শিশু চরিত্রমিঠু ভট্টাচাৰ্যপর্ব 1" জগৎ পারাবারের তীরে ছেলেরা করে মেলা.. সাগর খেলে শিশুর সাথে হাসে সাগর বেলা...জগৎ পারাবারের তীরে শিশুর মহামেলা.. "কবির প্রত্যেকটি নাটক গল্প গান কবিতা একেকটি নিখুঁত শিল্পকর্ম…

 


রবীন্দ্রনাথ এর শিশু চরিত্র

মিঠু ভট্টাচাৰ্য

পর্ব 1

 

মিঠু ভট্টাচার্য
" জগৎ পারাবারের তীরে ছেলেরা করে মেলা.. সাগর খেলে শিশুর সাথে হাসে সাগর বেলা...জগৎ পারাবারের তীরে শিশুর মহামেলা.. "কবির প্রত্যেকটি নাটক গল্প গান কবিতা একেকটি নিখুঁত শিল্পকর্ম.... এ সত্য প্রকট হয় কবির কল্পিত শিশু চরিত্রে... সকল চরিত্রে নানা বেশে পরিবেশে একজন কে দেখতে পাই... রবি শিশু.... কোথায় কবে নৌকা থেকে দেখা দৃশ্যপট. গাঁয়ের ছেলেমেয়েদের তৃষিত মুখ, মেলার হট্টগোল, শুকনো পাতার সুগন্ধ তাঁর ছোটগল্পে.. অতিথি,মেঘ ও রৌদ্র, সমাপ্তি, পোস্টমাস্টার.

         গুরুমশায়ের চোখ রাঙাণি, নিস্প্রান বাড়ির দমবন্ধ পরিবেশে শিশুর কলরব, এই নীরব পড়াশোনা তোতাকাহিনী তে লেখেন.

            ( ক্রমশঃ )🙏🙏🙏

🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺

 রবীন্দ্রনাথ এর শিশুচরিত্র

মিঠু ভট্টাচাৰ্য

পর্ব 2

রবির শৈশব কেটেছে ভৃত্য রাজক তন্ত্রে.. মা কে পাননি.. মা কে আমার পড়েনা মনে.. পিতা ভ্রমনে থাকতেন.. জোড়াসাঁকো তে এলেও এক গুরু গম্ভীর পরিবেশে বিরাজ করতেন.. তাই কড়ি বর্গের মধ্য দিয়ে আকাশ গাছ পুকুর নদী মানুষ পাখি এই গন্ডির জীবন কে উপভোগ করতেন.. এক কল্পলোকে বিচরণ করতেন না জানি ওপারে কি আছে.. এই হাঁপিয়ে যাওয়া জীবনের ছবি পাই ডাকঘরের অমল চরিত্রে...কারণ তাঁর নিজের শৈশব ছিল সীমাবদ্ধ.. তাই অতৃপ্ত আশা আকাঙ্খা কল্পনা ছিল সুদূর প্রসারিত.... যা তাঁকে স্বপ্নবিলাসী করে তোলে.. তাই তাঁর সৃষ্ট শিশু চরিত্র গুলি ভীতু শান্ত অথচ কল্পনা বিলাসী.. সেই কল্পনার ফসল কবিতা বীরপুরুষ.. মাত্র বারো বছর বয়সে মা কে হারিয়ে তাঁর বেদনা ব্যথা অভিমান বলার মানুষ না পেয়ে সব লিখে গেলেন শিশু ভোলানাথ গ্রন্থে..

        কবির শিশু চরিত্রে তাঁর নিজের শৈশবের মতোই কোনো বিকাশ নেই.. ছুটি র ছেলেটি অতৃপ্ত অতিথির বালক টির ঘরে মন টেকেনা.. এমন শিশু গুলিকে সামাল দেওয়ার জন্য দাদাঠাকুর চরিত্র টি বারবার এসেছে.. কবি নিজে ই ধরা দিয়েছেন সেই চরিত্রে....

               ( ক্রমশঃ )🙏🙏🙏

🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷

 রবীন্দ্রনাথ এর শিশু চরিত্র

মিঠু ভট্টাচাৰ্য

পর্ব 3

দাদা ঠাকুর চরিত্র টি তে কবি নিজের মনের কোথা বলেছেন... কড়া শাসন গুরুমশায়ের চোখ রাঙাণি পুঁথি গত শিক্ষা দমবন্ধ পরিবেশ গরাদ দেয়াল রবির নিজের কোনো দিন ভালো লাগেনি.. তাই তথাকথিত দাদা দিদি দের ভাষায় রবি টা মানুষ হলোনা.. সেই রবি সকল শিশুদের উপযুক্ত মানুষ করে তোলার জন্য বীরভূমের রাঙা মাটির ধারে কোপাই নদীর তীরে ভুবন ডাঙ্গার পাশে খোয়াইয়ের পথ ধরে গাছ গাছালীর মধ্যে উন্মুক্ত পরিবেশে নিজের সমস্ত পুঁজি নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে সৃষ্টি করলেন শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী... যেখানে ছেলেমেয়েরা সসিব থেকে মুক্ত প্রকৃতির পরিবেশে গাছের তলায় নদীর ধারে হেসে খেলে মুক্তকণ্ঠে গাইবে নাচবে পড়বে শিখবে হরেক ভাষা শিল্প অঙ্কন  ... দল বেঁধে করবে চড়ুইভাতি.. দোল পূজা উৎসব কে চিনবে.. জানবে ভারতীয় সনাতন রীতি... তারা হবেনা খাঁচার পাখি.. তারা হবে বনের পাখি... সেই শিশুগুলি দাঁড়িওকা দাদাঠাকুর কবি রবির সঙ্গে গেয়ে উঠবে.. " আমরা নুতন যৌবনের ই দূত. আমরা চঞ্চল আমরা অদ্ভুত.... আমরা বেড়া ভাঙি.. আমরা কড়ি ভুল... আমরা নুতন যৌবনের ই দূত.. "

          ( সমাপ্ত )🙏🙏🙏🙏🙏