#নারী: নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক।#(এক)আমি কৃতজ্ঞ নারীর কাছে। নারীকে নিয়ে আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি এবং বলি । নারীকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক আলোচনায় আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই বরং বিরক্তি আছে। আমাদের সমাজে মানুষকে আশার আলো দেখানোর …
অমৃত মাইতি |
#(এক)
আমি কৃতজ্ঞ নারীর কাছে। নারীকে নিয়ে আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি এবং বলি । নারীকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক আলোচনায় আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই বরং বিরক্তি আছে। আমাদের সমাজে মানুষকে আশার আলো দেখানোর দায়দায়িত্ব সংবাদ মাধ্যমগুলি এবং যারা প্রতিদিন মস্তিষ্ককে শাণিত করার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন তাদেরও খুব একটা মাথাব্যথা নেই। অন্ধকারের দিকগুলো বারবার উচ্চারিত হচ্ছে, আলোচনায় চলে আসছে। পাশাপাশি অসংখ্য উত্তরণের আলোকময় দৃষ্টান্ত সারা পৃথিবী জুড়ে আছে যা থেকে মানুষের হতাশা কাটানো যায় সেগুলো নিয়ে চর্চা করা উচিত বেশি বেশি করে। ইতিহাস কিন্তু অগ্রগতির। অসংখ্য সমাজ পরিবর্তন, বৈপ্লবিক পরিবর্তন নারী পুরুষ উভয়ের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের লড়াইয়ে চেতনায় সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর অর্ধেকটা আকাশ নারীর অর্ধেকটা আকাশ পুরুষের। এই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এই চেতনার আলোকে পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশে নারী থেকেছে , শুধু থেকেছে নয় প্রত্যক্ষ ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে ভালোবেসে সমাজকে ভালোবেসে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে চূড়ান্ত লড়াই চূড়ান্ত বোঝাপড়া পর্যন্ত । এই হল ইতিবাচক দিক।
আমার জীবনে শুরু থেকে জীবন সন্ধ্যাকাল পর্যন্ত প্রতিমুহূর্তে নারীর ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। শ্রেণীবিভক্ত সমাজের শুরুতে
সম্পত্তি ও পারিবারিক এক বিশেষ অবস্থানের কারণে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যের বীজ প্রোথিত হয়। সমাজ বিবর্তনের গতিপথে পারিবারিক জীবন গড়ে ওঠে স্বাভাবিক নিয়মে। নারীকে ধাত্রী বলি।
নারীকে কেন্দ্র করে পারিবারিক জীবন। তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ আনন্দ বেদনা সবকিছুর উৎস নারী।
নারীহীন পরিবার কল্পনায় আসেনা। সন্তানের সঙ্গে নারীর সম্পর্ক। সন্তানকে ভালো রাখা, জীবনকে আলোকিত করা ,সমাজের বুকে যোগ্য করে তোলা এই চিন্তা ভাবনা থেকে নারী তার সময়কে সম্পর্ক ও ভালোবাসার কারণে উৎসর্গ করে। নারীর ভালোবাসাই পারিবারিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ভিত।
সৃষ্টির সঙ্গে নারীর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাই কবির কথাই বলি, নারী হেসে উঠলো, সাথে সাথে পৃথিবীর বিষণ্ণতা কেটে গেল। এই নারী সামাজিক উৎপাদনের কাজে বঞ্চিত হয়েছে ,আবার এই নারী সমস্ত বাধা অতিক্রম করে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ধারণ করেছে। শরীর কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
নারীদের অধিকার নিয়ে ওলন্দাজ মহিলা মার্গারেট লুকাস প্রথম কলম ধরেন।
(চলবে)