# সৃষ্টি সাহিত্য যাপন।। সপ্তপদী।।
সন্ধ্যা তারা সন্ধান নিয়ে এলোসূর্য গেছে অস্তাচলে, সাঁঝের প্রদীপের অনির্বাণ দীপ্তিতেপল্লীবধূর ললাট সিন্দুর উদ্ভাসিতসীমন্তের সিঁদুর রেখার পথ ঘন আরও ঘন হয়ে নিবিড়। আত্মসমর্পণে বিলীন ঘন মুক্ত কেশজা…
# সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
।। সপ্তপদী।।
সন্ধ্যা তারা সন্ধান নিয়ে এলো
সূর্য গেছে অস্তাচলে,
সাঁঝের প্রদীপের অনির্বাণ দীপ্তিতে
পল্লীবধূর ললাট সিন্দুর উদ্ভাসিত
সীমন্তের সিঁদুর রেখার পথ ঘন আরও ঘন হয়ে নিবিড়। আত্মসমর্পণে বিলীন ঘন মুক্ত কেশজালে;
প্রেমের বহ্নি-পতঙ্গ স্বাতী নক্ষত্রের কয়েক বিন্দু শিশিরে সিক্ত হয়ে; আবেশে ঢলে পড়ে ব্রহ্মকমলের বুকে।
অলকদামে কনকলতার গুচ্ছমূল সোঁদামাটির মাতাল করা গন্ধে মশগুল।
স্বপ্ন জাল বোনে কল্পলতা;অভিপ্রায় হারাবে অনন্ত নীহারিকার চরণচিহ্ন ধরে অসীমের অন্বেষণে-
ঐ শুনি কালপুরুষের রুদ্র বীণায় দীপক রাগের আলাপ!
তবু সহস্রধারায় নক্ষত্রলোক থেকে অমৃতধারায় সিঞ্চিত হয়ে; সন্ধ্যাস্নানান্তে সপ্ত ঋষি জপে মহাশান্তি মন্ত্র।
নীরব, নিস্তব্ধ মহাকাশে ধায় গ্রহরাশি,
অনাহত নাদ চির বিস্ময় চিহ্ন এঁকেছে শত সহস্র আলোকবর্ষ দূরে
সনাতনী চৈতন্য সত্তা ধ্রুবতারা হয়ে চির অচঞ্চল ।
ধীরে ধীরে বিরহী যক্ষের কবোষ্ণ হৃদয়ের আলিঙ্গন থেকে ঘুম ভাঙে শুকতারার,
পূর্বাচলের পথে শিশিরের আঘ্রাণ মেশে অলকানন্দার স্নিগ্ধ শীতল ধারায়।
©সমুদ্র সেন ( সুভাষ মিত্র) ✍
১৩/০৯/২০২১