পুরসভার কাজ হলো পুর নাগরিকদের পরিষেবা।আর সেই কাজ পুরসভা তো এমনি এমনি করে না।সেই কাজের জন্য দস্তুর মতো নাগরিকদের করের টাকা গুনতে হয়।সে জলকর বলুন বা অন্য কোন কর।গতবছর করোনা আবহে হাওড়া পুরসভা বাড়ি বা ফ্লাটের করের বিল পাঠায়নি।সেই টাক…
![]() |
তরুণ চট্টোপাধ্যায় |
গতবছর করোনা আবহে হাওড়া পুরসভা বাড়ি বা ফ্লাটের করের বিল পাঠায়নি।সেই টাকা আদায়ের জন্য এই বছর বিল আসে।আর সেই বিল দেখে নাগরিকদের চক্ষুচড়ক গাছ।গত বছরের বকেয়ার সঙ্গে রীতি মতো ফাইন যোগ করে সে বিল তৈরি করা হয়েছে।পুর নাগরিকদের বক্তব্য হলো বকেয়া বছরের বাড়ি বা ফ্লাটের কর নিশ্চয় দেব।কিন্তু তার সঙ্গে জরিমানা কেন।
কিন্তু পুরসভার দিক থেকে কোন সুরাহার বার্তা নেই।ফলে নাগরিকদের একসঙ্গে দুই বছরের কর ও সঙ্গে জরিমানা দিতে বাধ্য করা হলো।
করোনা আবহে মানুষ লম্বা কিউ দিয়ে সেই কর মেটানোর ছবি দেখা যাচ্ছে কদিন ধরেই।
4200 টাকা চার কোয়ার্টার এর কর দেন যিনি তিনি হিসাব মতো 8200 টাকা দেবেন দু বছরে।কিন্তু তাঁকে দিতে হলো 9400 টাকা।
জনসাধারণের প্রশ্ন হলো পুরসভা বিল দেয়নি বলেই তো কর দিতে পারিনি।তাহলে সেই বিল দেরিতে এলে আমরা কেন জরিমানা দেব।
লাইনে দাঁড়ানো এক ষাটোধ্ব বৃদ্ধ জানালেন সরকার লক্ষীর ভান্ডার ,স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন।সেই সুযোগ আমাদের নেই।আমরা কি শুধুই কর দিয়ে যাব।
পুর সভায় নির্বাচন নেই।ফলে কাউন্সিলর ও নেই।এই অভিযোগ আমরা কাকে জানাব।
এ ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষ কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন যা হচ্ছে সব আইন মাফিক।
পুরসভা সময় মতো বিল দিতে পারেনি করোনার কারনে।আজও করোনা রয়েছে।তা সত্বেও কি করে পুরসভা বকেয়া বিলের ওপর জরিমানা ধার্য করলো।
না কোন উওর নেই।
পুরসভার এ হেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেও নাগরিকরা সুরাহার কোন রাস্তা খুঁজে পান নি।
ফলে লাইন দিয়ে করোনা বিধি লঙ্ঘন করেই পুরসভার কর আদায় চলছে।