শিরোনাম- রেডিও।✍অমিতা দাস সরকার।১\১০\২১
রেডিও।📻📻
ধূলো মেখে গায়,প'ড়ে আছে এক কোণায়....মাকড়সা জড়িয়ে তাকে বুনেছে কত জাল অবলীলায়।ইহূদী মেনুহীনের বেহালার সুরে জেগে উঠত সে প্রহর,শিহরণ বয়ে যেত শীত- কম্বলের নীচে..., হতো ভোর!প্রভাতী বন…
শিরোনাম- রেডিও।
✍অমিতা দাস সরকার।
১\১০\২১
রেডিও।
📻📻
ধূলো মেখে গায়,প'ড়ে আছে এক কোণায়....
মাকড়সা জড়িয়ে তাকে বুনেছে কত জাল অবলীলায়।
ইহূদী মেনুহীনের বেহালার সুরে জেগে উঠত সে প্রহর,
শিহরণ বয়ে যেত শীত- কম্বলের নীচে..., হতো ভোর!
প্রভাতী বন্দনার গানের সুরে, সময় তখন নিয়ে বসার খাতা বইটা,
রোদ্দুর তখনো উঠি উঠি করে দিচ্ছে চোখে আবীর রংয়ের ছ্বটা।
বাবা গরম চায়ের পেয়ালা হাতে অপেক্ষারত, অধীর কাঙ্গালমত,
'আকাশবাণী...,খবর পড়ছি সুমিতা সান্যাল...।'
এরপর স্থানীয় সংবাদ শোনা শেষে,
শুরু হত বাবার দিনের কাজ,ফট্ফটে ধৌত বেশ বাসে।
মায়ে ঘর-সংসারের কাজকর্ম,ঠাকুমার খবরদারি,
নাতি-নাতনীদের ঝকমারি বায়না মেটানোর পর
ছুটির দিনের দুপুর বেলায় গল্প শোনার পালা।
ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী,রাজপুত্তর,সেনাপতি পুত্তররা যেন চোখের সামনে !
এখন খবর শোনার জন্যে কেউ নেই আর বসে,
'অনুরোধের আসর,মহিলা মজলিশ,ছায়াছবির গান'..এসবে ম'জে!
আঠারোর তিন্নি তাকে ঝেড়ে ফেলে দিতে চায় অবাধে,
হারিয়ে গেছে সে--ই সে দিনগুলি নতুনত্বের প্রবেশে।
ঠাকুমার কেঁদে ওঠে মন,হারানো সে দিনগুলিকে মনে করে,
এখনোও কানে বেজে ওঠে মহালয়ার সুরে অসুরদলনীরে,
ঘর-উঠোন গমগম্ করত বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠের উদাত্ততায়,
'যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সমস্থিতা---,নমো নমাহাঃ' য়!
পুরোনো দিনেরে ধরে রাখা তো যায় না,জল আসে চোখের কোলে,
নাতনীকে বলেন,'থাক্ না পড়ে আছে এককোণে।'
একদা মুখর,আজ ভাষাহীন বোবা যন্ত্রটি ঠাঁই পায়না বড় ফ্ল্যাটে,
অতি আদরে নিজের কাপড়ে মোছেন ঠাকুমা তাকে।
অনুরোধ তাঁর...,'ওওও তিন্নি,ফেলিস না রে,থাক্ না আমার কাছে..,
ওখানেও যে আমার ঘর-সংসারের অ--নেকটা লুকিয়ে আছে।'
📻📻📻📻📻📻📻📻📻📻📻