শব্দ বাজি বন্ধ করতে হাইকোর্ট উঠে পড়ে লাগলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে বাজি প্রেমীদের ঘুম এখনো ভাঙেনি।পুলিশের কড়া নজর এড়িয়ে কালীপূজার আগের দিন থেকেই বঙ্গ cজুড়েই ফেটেছে বাজি।আর সেই শব্দ আজও অব্যাহত ।বাজির শব্দে কান পাতা দায়।আলোর এই উৎসব…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় |
শব্দ বাজি বন্ধ করতে হাইকোর্ট উঠে পড়ে লাগলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে বাজি প্রেমীদের ঘুম এখনো ভাঙেনি।পুলিশের কড়া নজর এড়িয়ে কালীপূজার আগের দিন থেকেই বঙ্গ cজুড়েই ফেটেছে বাজি।আর সেই শব্দ আজও অব্যাহত ।
বাজির শব্দে কান পাতা দায়।
আলোর এই উৎসবে দীপের আলো জ্বলুক।কিন্তু শব্দ বাজি কেন।এই প্রশ্নের সন্তোষজনক সমাধান আজও সেই তিমিরেই ।মানুষ মনের আনন্দে দুম দাম বাজি ফাটিয়েই চলেছেন।
আজ ভাই ফোঁটা ।বোনেরা ভাই এর কপালে ফোঁটা দিয়েছেন সকাল থেকেই।কিন্তু আজ রাতেও যে বাজি পুড়বে তা নিয়ে সংশয় নেই।
বাজির শব্দে সব থেকে বিপদে পড়েন পশুরা।সে গরু বাছুর কুকুর ও বিড়াল।পোয্য পশুদের আড়ালে আবডালে রেখে কিছুটা শব্দের প্রকোপ কমানো গেলেও রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশুদের অবস্থা সঙ্গীন।
সবথেকে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো এবার খড়্গপুরে ।রাস্তার এক পথ কুকুরের পায়ে শব্দ বাজি বেঁধে পৈশাচিক উল্লাস দেখালো একদল যুবক।ফলে কুকুরটির একটি পা উড়ে যায় ।ক্ষত বিক্ষত হয় কুকুরটি।নিদারুন যন্ত্রণা নিয়ে কেঁউ কেঁউ করতে করতে লুঠিয়ে পড়ে কুকুরটি।
প্রশাসন অবশ্য কড়া হাতে তদন্তে নেমেছেন।কিন্তু এখনো সেই সব যুবকেরা ধরা পড়েনি।
পশুপ্রেমীরা এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ।সারা বাংলা জুড়েই এই ঘটনার নিন্দা করছেন মানুষ ।
সকলের প্রশ্ন নিরীহ পশুর ওপরে এই ধরনের অত্যাচার কেন।
শব্দ বাজি বন্ধ করতে গেলে সাধারন মানুষকে ও পথে নেমে প্রতিবাদ করতে হবে।কিন্তু সে প্রতিবাদ তো হচ্ছে না।
উল্টে ফ্লাট বাড়ির মেন গেটে তালা দিয়ে বাজি ফাটছে।পুলিশ আসার আগেই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বাজি।ফলে পুলিশ ও পড়ছে ধন্দে।