অবশেষে খাঁচায় ঢুকলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গ্রামবাসী ।আজ ভোরে সুন্দর বনের মৈপীঠের নস্করবেড়িয়া তে প্রাপ্তবয়স্ক এই বাঘটি এক ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছিল।সে খবর আমরা সকালেই জানাই।তারপর সারাদিন ধরে চলে বনদপ্তরের ব্যস…
অবশেষে খাঁচায় ঢুকলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গ্রামবাসী ।আজ ভোরে সুন্দর বনের মৈপীঠের নস্করবেড়িয়া তে প্রাপ্তবয়স্ক এই বাঘটি এক ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছিল।সে খবর আমরা সকালেই জানাই।
তারপর সারাদিন ধরে চলে বনদপ্তরের ব্যস্ততা।ঘুমপাড়ানি গুলির কথাও ওঠে।ধানক্ষেত টিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় সকালেই।তারপর চারটি খাঁচা রাখা হয় বাঘটিকে ধরার উদ্দেশ্যে ।কিন্তু সারাদিন শত চেষ্টা তেও বাঘটি ধরা না দিয়ে ঘাপটি মেরে বসেছিল ধান ক্ষেতের মধ্যেই ।শত চেষ্টা তেও সে ধরা দেয়নি।
সারাদিন ধরে অসংখ্য মানুষ বাঘটিকে দেখবার বাসনায় এখানে জড়ো হন।সন্ধ্যার পর মানুষ কমলে বন দপ্তরের নির্দেশে এলাকার সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়।এমনকি রাস্তার আলোও নিভিয়ে দেওয়া হয়।
অন্ধকার নামতে বাঘটি চলে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় সে ঢুকে পড়ে খাঁচায় ।খাচার দরজা বন্ধ হতেই আটকে পড়ে বাঘ বাবাজী।
এলাকার কাছাকাছি সমস্ত দোকান পাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়।স্হানীয় মানুষ দরজায় খিল আঁটেন।তবে বাঘটি খাঁচায় বন্ধী হয়েছে এই খবরে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
বাঘটিকে নিয়ে বন দপ্তরের কর্মী রা এখন যাবেন ঝড়খালি তে।সেখানে বাঘটির পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা চলবে।দেখা হবে শরীরের কোথাও আঘাত লেগেছে কিনা।
সব কিছু দেখার পর বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বনের মধ্যে ।
যদিও খাঁচায় বন্দী বাঘটিকে খোশ মেজাজে খাবার খেতে দেখা গেছে।
সুন্দর বনে জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ।এই বাঘটিও এসেছিল জঙ্গল থেকে মাতলা নদীতে সাঁতার কেটেই।গতকাল রাতে সে চলে আসে নদী পেরিয়ে ।তারপর আশ্রয় নেয় ধানক্ষেতে।
নদী পার বরাবর রয়েছে বাঘের পায়ের চিহ্ন ।ভাগ্য ভালো বাঘটির মুখের কাছে মানুষ পড়েননি।পড়লে বাঘের পেটে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না।
কুলতলী জুড়েই বাঘের আতঙ্কে সারাদিন কেটেছে এলাকা বাসীর।