Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে জেলার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: মাস দুয়েকের ব্যবধানে ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে জেলার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে প্রান্তিক চাষীরা। এমন পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারি নির্দেশিকার পাশাপাশি ব্যাপক হারে…

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: মাস দুয়েকের ব্যবধানে ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে জেলার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে প্রান্তিক চাষীরা। 

এমন পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারি নির্দেশিকার পাশাপাশি ব্যাপক হারে জেলাজুড়ে কৃষক সচেতনতায় মাইকিং প্রচার এর নাম জেলা কৃষি দপ্তর। 

স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় দু লক্ষ আশি হাজার হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থা তৈরি হয় চাষীদের। তবুও চলতি বছর সেই ক্ষতি এড়িয়ে প্রায় ২লক্ষ ৪৫ হাজার হেক্টর চাষের জমিতে আমন চাষ করা সম্ভব হয়েছিল। 

কিন্তু মাস তিনেক আগে বর্ষার মরশুমে কখনো নদী বাঁধ ভেঙে আবার কখনো অতি বৃষ্টির জেরে বিস্তীর্ণ এলাকায় জল বন্দি হয়ে পড়ে। তীব্র ক্ষতির মুখে পড়ে পটাশপুর ১, ভগবানপুর ১ ও ২ ব্লকের আমন চাষ। আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পাঁশকুড়া, চন্ডিপুর ও পটাশপুর ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার ধান, পান, সবজি সহ ফুল চাষ। এমন পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে নিম্নচাপের সতর্কবার্তা যেন চাষীদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত হয়ে উঠেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই শীতের রৌদ্রোজ্জ্বল হিমেল পরশ এর মধ্যেই আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (৭ - ২০ সেমি) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে সামুদ্রিক ঝোড়ো হাওয়া । কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পঃ মেদিনীপুর, পূ মেদিনীপুর, দ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, ঝাড়গ্রাম, পূ বর্ধমান জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত রয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই জেলার প্রান্তিক চাষীদের বিপুলসংখ্যক এই ক্ষতি এড়াতে অবিলম্বে মাঠের পাকা আমন ধান কেটে ঝেড়ে তা তুলে ফেলতে বলা হয়েছে।

 আলু, সরষে বা অন্য ফসলের ক্ষেত্রেও একই ভাবে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাই চাষিরা যাতে বিষয়টি গুরুত্ববসহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন তার জন্য ব্লক থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি কৃষকদের সচেতনতার লক্ষ্যে কৃষি দফতরের উদ্যোগে বুধবার সকাল থেকে এলাকায় এলাকায় জোরদার মাইকিং প্রচার শুরু হয়েছে খেজুরি ২, পটাশপুর ২, রামনগর ১ ও এগ্রা ব্লক জুড়ে। জেলা যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা(শস্য সুরক্ষা)মৃণাল কান্তি বেরা বলেন, নিম্নচাপের হাত থেকে চাষীদের রেহাই দিতে মাঠের পাকা ধান অতি দ্রুত তার সঙ্গে কেটে ফেলার পাশাপাশি পান, সরষে সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের নিকাশি নালা গুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া থেকে পেতে কলা, পেঁপে, পানের বরজ এর খুঁটি মজবুত ভাবে বাঁধন দেওয়ার পরামর্শ। জমির জল বের করার জন্য ভেলি তৈরি ব্যবস্থা যাঁরা এখনও আলু বসাননি, তাঁরা নিম্নচাপ কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।