আজ কলকাতা করপোরেশনের পুর নির্বচন কে কেন্দ্র করে স্ট্যাটেজি সভা হয় তৃনমূল দলে।144 জন প্রার্থী ও তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতারা বসেন এই আলোচনায় ।দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নিজে সকল প্রার্থী ও নেতাদের বুঝিয়ে দেন করপোরেশনে…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । |
দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নিজে সকল প্রার্থী ও নেতাদের বুঝিয়ে দেন করপোরেশনের ভোটে কেমন ভাবে লড়াই করতে হবে।
দলে টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ তৃনমূল কর্মী দের উদ্দেশে বলা হয় দল তো সবাই কে টিকিট দিতে পারে না।এতে বিক্ষোভের কিছু নেই।দলে থেকে সকলেই কাজ করতে পারবেন।দল ঠিকমতো ব্যক্তি কে ঠিক জায়গায় কাজের দায়িত্ব দেবেন যথা সময়ে ।
নির্দল দের সম্পর্কে বলা হয় ,প্রার্থী পদ না পেলে নির্দল হতে হবে এমন তো কথা নেই।নবীন ও প্রবীণ মিলিয়ে দল প্রার্থী নির্বচন করেছে।এটি দলগত সিদ্ধান্ত ।তা কখনোই বদলাবে না।
মমতা বন্দোপাধ্যায় কে মাথায় রেখেই এই নির্বচনে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফিরদাস হাকিম কে অত্যন্ত আশাবাদী মনে হয়েছে।তিনি বলেন এই নির্বচনে যদি কেউ অশান্তি করে দল তা মেনে নেবে না।গনতন্ত কে বাঁচিয়ে ই ভোট করতে হবে।
দলের ওপরে কেউ নয়।রথ ভাবে আমি দেব,বলেই তিনি খেই হারিয়ে ফেললে পাশে থাকা একজন বলে দিলেন পথ ভাবে আমি।
মনে পড়ে গেল শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পর দিঘাতেও তিনি এই কোটেশন টি দিয়ে ছিলেন।সেটি শুভেন্দু অধিকারী কে লক্ষ্য করেই।তবে আজও তিনি কারো নাম করে কিছু বললেন না।তবে তাঁর কথার মধ্যে ধরা পড়লো বিক্ষুব্ধ দের উদ্দেশ্যে ই তিনি একথা বললেন।মমতা ব্যানার্জি ছাড়া কেউ যে দেশের ভালো করতে পারবেন না তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন।
বিগত দিনে কলকাতা করপোরেশনের উন্নয়ন দেখেই মানুষ ভোট দেবেন তৃনমূল দল কে।
বিরোধীদের অবশ্য অভিমত এটি কথার কথা।তৃনমূল দল শান্তিতে কখনোই ভোট করেনি।সে কি বিধান সভা,কি পুরসভা ।লেঠেল বাহিনীই ভোট পরাচালনা আগেও করেছে ,এবার ও তাই করবে।রক্ত পাতহীন ভোট মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অভিধানে নেই।আর শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হলে করপোরেশন থেকে চলে যেতে হবে তৃনমূল দলকে।
সব দলের স্ট্যাটেজি থাকে ও থাকবে।তবে কলকাতার মানুষ চাইছেন রক্ত পাতহীন ভোট।
হলেই তো মঙ্গল ।