Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন-দৈনিক-সেরা-লেখনী-সম্মাননা

#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন #পবিত্র_জন্ম_তিথিতে_শ্রদ্ধার্ঘ্য : 
শ্রীরামকৃষ্ণ দরদী স্বামী প্রেমানন্দ---------------------------------------------সম্পর্কে ভক্ত প্ৰবর বলরাম বসুর মেজ শ্যালক। শ্রীশ্রী ঠাকুর তার ত্যাগী সন্তানদের মধ্যে যে কয়েক …

 


#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন 

#পবিত্র_জন্ম_তিথিতে_শ্রদ্ধার্ঘ্য : 


শ্রীরামকৃষ্ণ দরদী স্বামী প্রেমানন্দ

---------------------------------------------

সম্পর্কে ভক্ত প্ৰবর বলরাম বসুর মেজ শ্যালক। শ্রীশ্রী ঠাকুর তার ত্যাগী সন্তানদের 

মধ্যে যে কয়েক জনকে 'ঈশ্বরকোটি' বলে স্বয়ং চিহ্নিত করেছিলেন স্বামী প্রেমানন্দ তাদের একজন।ঠাকুর আরো বলতেন: ও নৈকষ‍্য কুলীন , হাড় পর্যন্ত শুদ্ধ। বাবুরামকে দেখলাম :দেবী মূর্তি ! ও আমার দরদী।

আশৈশব শুদ্ধ সংস্কারের অধিকারী বাবুরাম ছোটবেলা থেকেই বিবাহ না করার কথা বলতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন কোন এক সাধুর আশ্রমে থেকে ঈশ্বর লাভের সাধনায় দিনাতিপাত করবেন। পরবর্তীকালে ঠাকুরের সংস্পর্শে এসে তার সেই স্বপ্নই সকার হয়। লেখাপড়ায় তার মন বসত না।একবার ক্লাসের পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হলে ঠাকুর বলেছিলেন : বেশ হয়েছে।পাশ যুক্ত জীব ,পাশ মুক্ত শিব। বাবুরমদের পরিবার ছিল ভক্ত পরিবার। শ্রীশ্রী ঠাকুর বাবুরামের মাতা মাতঙ্গিনীদেবীর কাছ থেকে বাবুরামকে চেয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন : এ তো অতি উত্তম কথা,তবে একটি কথা দিন আমাকে যেন কখন সন্তান শোক পেতে না হয়।ঠাকুর তা দিয়েছিলেন। পরবর্তী কালে বাবুরামের ভীষন অসুখের সময়ও তিনি বলতেন : আমার কিছু হবে না।আমার মা তো এখনও বেঁচে আছেন।

প্রথম দর্শনেই ঠাকুর তাকে তার ভাবের ভাবি বলে চিনেছিলেন। ঠাকুরের সমাধি অবস্থায়যে কেউ তাকে ছুঁতে পারতেন না। বাবুরাম ঠাকুরকে ছুঁতে পারতেন। স্বামী সারদানন্দজির কথায় এ ব্যাপারে বাবুরাম অদ্বিতীয়। এমনকি বিবেকানন্দও নয়, অন্যে কা কথা।

পরবর্তীকলে বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি মঠের ম্যানেজারের দায়িত্ব ভার প্রেম ও ভালবাসা দিয়ে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করে পালন করেন। বাবুরাম মহারাজের প্রেমাকর্ষণে বহু উচ্চশিক্ষিত যুবক সেই সময় মঠে যোগদান করেছিলেন। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন ইউনিভার্সিটির সেরা সেরা ছেলেরা সব বেলুড় মঠে যোগ দিচ্ছে।

বাবুরাম মহারাজের আপ্যায়নে আমোদিত স্যার আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বলেছিলেন : সারা দুনিয়া ঘুরেও এমন জায়গা আর একটিও দেখলাম না , যেখানে কেবল এমন এসো, বোসো এবং খাও - আছে। রাজা মহারাজ তার সম্বন্ধে বলতেন : এমন মহাপুরুষ যে দিকে তাকান সেদিকটাই পবিত্র হয়ে যায়। 

বিবেকানন্দ তাকে বলেছিলেন : বাবুরাম পূর্ব বঙ্গটা তোর জন্য রইল। আর সে কাজে তিনি যে কতটা নিষ্ঠা ও পারদর্শিতা দেখিয়ে ছিলেন তার হিসেব ইতিহাস রেখেছে। বলা হত পূর্ব বঙ্গে তার সভায় এত লোক হত যে মহাত্মা গান্ধীর সভাতেও তত লোক হত না। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসও মুগ্ধ হয়েছিলেন বাবুরাম মহারাজের প্রেমাকর্ষণে।

নব গঠিত বেলুড় মঠে স্বামীজী প্রবর্তিত অনুশাসনের কঠোর প্রতিপালক তিনি ছিলেন। একবার ভোরে নির্দিষ্ট সময়ে মন্দিরে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি স্বামীজী নির্দিষ্ট শাস্তি নিজেও মাথা পেতে নিয়েছিলেন। 

অনন্ত ভাবময় ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের দিকটা তার জীবনে পূর্ণ পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল। ১৯১৮ সালের ৩০শে জুলাই এই মহান সন্ন্যাসী লীলা সংবরন করেন। তার মহানপ্রয়ানের সংবাদে শ্রীশ্রী মা বলেছিলেন : মঠের শক্তি ভক্তি মুক্তি -সব আমার বাবুরামের রূপ ধরে গঙ্গা তীর আলো করে বেড়াত।


জয় মহাময়ী কি - জয়

জয় ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ কি - জয়

জয় স্বামী বিবেকানন্দ কি - জয়

জয় স্বামী প্রেমানন্দ কি - জয়।