জওয়াদ আতঙ্কে বঙ্গ না কাঁপলেও অন্ধ ও উড়িষ্যা তে যে এই জওয়াদ ডানা মেলবে তা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে ।সব কিছু মিললে আগামী রবিবার তা এসে পৌছাতে পারে পুরী সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে।ফলে অন্ধ ও উড়িষ্যার বিপদ কাটেনি।যদিও আবহবিদদের অনুমান উড়িষ্যা পে…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । |
ইতিমধ্যেই নানা ধরনের সতর্কতা জারি হয়েছে বঙ্গ জুড়েই।মৎস্যজীবিরা ইতিমধ্যেই টলার নিয়ে ফিরে এসেছেন।গভীর সমুদ্রে যাঁরা মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন তাঁরা সকলেই ফিরে আসায় বঙ্গ প্রশাসনে ও স্বস্তি দেখা গেছে।
তবে সমুদ্র উপকূল ক্রমশই ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে।আজ সারাদিন টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়লেও গভীর রাত থেকে সেই বৃষ্টির পরিমাণ ও বাড়বে।তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম কেও।দিঘা ও সুন্দর বনে ঘন ঘন মাইকে ঘোষনা চলছে।নীচু জায়গায় বসবাস কারী জনগনকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে আনা হয়েছে।
ওমিক্রন কদিন চোখ রাঙালেও মানুষ সে ভাবে আতঙ্কিত হননি।কিন্তু জওয়াদ আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল এই বঙ্গে ও।তবে এখন স্বস্তি কিছুটা।বৃষ্টি ও ভারি বৃষ্টি এলেও ঝড়ের দাপট থাকছে না ।জলডুবির আশঙ্কা কে অবশ্য বাদ দেওয়া যায় নি।কারন গভীর নিম্নচাপ থেকে বৃষ্টি অনিবার্য ।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্টে জানা গেছে আগামীকাল রবিবার বিকালে নিম্নচাপ টি উড়িষ্যা উপকূলবর্তী জায়গায় থাকলেও তা শক্তি হারাতে হারাতে প্রবেশ করবে পশ্চিমবঙ্গে।এর ফলে রবিবার সকাল থেকেই আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন দেখা দেবে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়া হাওড়া, হুগলি নদীয়া সহ বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি হবে।
ঘন ঘন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বিভিন্ন সময়ে অন্ধ উড়িষ্যা ও বাংলাকে বিপর্যস্ত করছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় তিন রাজ্য ই তৈরি।আর উড়িষ্যা তো সব সময় ই কয়েক কদম এগিয়ে ।
ভুবনেশ্বর থেকে কয়েকজন ফোনে জানান অতিরিক্ত সতর্কতা উড়িষ্যা সরকার সব সময় নেয়।এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।ভুবনেশ্বরের আকাশ মেঘলা।মাঝে মাঝেই সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে।সকলেই আতঙ্কিত না হলেও কাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা আবহাওয়া কেমন থাকে সে দিকে নজর রেখেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিপদ নেই ঝড়ের ।কিন্তু সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস তো হতেই পারে।
যদিও দিঘা ও সুন্দর বনে পর্যটক রয়েছেন।তবে তাঁরা এখন হোটেলেই বন্ধী।
বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ঘন ঘন সৈকতে পাহারা দিয়ে চলেছেন।সারাদিন ধরে কাউকেই সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি।
তবে পর্যটক দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ঝড় আসবে না তাই স্বস্তি ।তবে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ ইতিমধ্যেই তাঁরা দেখে নিয়েছেন।আগামীকাল আরো দেখবেন।
অন্ধ ও উড়িষ্যা তে আতঙ্ক থাকলে ও খোশ মেজাজে বঙ্গ ।ঝড় জওয়াদ আসছে না।
আর আসবে কেন।জওয়াদ এর অর্থ তো মহান।তবে প্রশাসন থেকে পর্যটক সকলেই নজর রাখছেন জওয়াদ এর দিকেই।
প্রকৃতির খামখেয়ালি পনা।কখন যে কি ঘটে যায় ।
জওয়াদ এর ভ্রকুটি তে রেল ইতিমধ্যেই বহূ ট্রেন বাতিল করেছে।বিশেষ করে যে সব গাড়ি উড়িষ্যা ও অন্ধ হয়ে পাস করে।রেল সূত্রে জানা গেছে সাময়িক ভাবে ট্রেন গুলি বাতিল করা হয়েছে যাত্রী সুরক্ষার দিকেই নজর রেখে।দুর্যোগ কেটে গেলে তা আবার স্বাভাবিক রুটেই চলবে।
আগামীকাল রবিবার ই বোঝা যাবে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ।সোমবার ও চলবে বৃষ্টির রেশ।
তবে বঙ্গ বাসীর কাছে সুখবর।জওয়াদ এখানে ঝড় হয়ে আসছে না।আসছে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি ।
তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।