দেবাঞ্জন দাস, কলকাতাবারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আগত পুণ্যার্থী ও শত শত মন্দির কর্মীদের আর খালি পায়ে মন্দির চত্ত্বরে চলাফেরা করতে হবে না। এজন্য খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ভক্ত ও মন্দির কর্মীদের …
দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা
বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আগত পুণ্যার্থী ও শত শত মন্দির কর্মীদের আর খালি পায়ে মন্দির চত্ত্বরে চলাফেরা করতে হবে না। এজন্য খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ভক্ত ও মন্দির কর্মীদের ব্যবহারের জন্য খাদি হস্তনির্মিত 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' কাগজের চপ্পল বিক্রি শুরু করছে। কাশী বিশ্বনাথ করিডরে গাড়ি পার্কের জায়গায় যে সমস্ত খাদি খুচরো বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, সেখান থেকে এই চপ্পল বিক্রি করা হবে। প্রতি জোড়া এধরণের 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' চপ্পলের দাম ৫০ টাকা। বারাণসীতে স্বীকৃত খাদি প্রতিষ্ঠান খাদি হস্তকলার পক্ষ থেকে এই চপ্পল বিক্রি করা হবে। আগামী ১৪ তারিখ মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্ত হস্তনির্মিত কাগজের চপ্পল উৎপাদন ইউনিটের সূচনা করবেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীরা খালি পায়ে তাঁদের কাজ করে থাকেন, একথা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাটের তৈরি চপ্পল পাঠিয়েছিলেন। মন্দির চত্ত্বরে চর্ম ও রাবারের তৈরি চপ্পল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মন্দিরের উপাসক, নিরাপত্তাকর্মী, সাফাইকর্মী এবং আগত উপাসকরা সকলেই মন্দির চত্ত্বরে খালি পায়ে হাঁটা-চলার চিরাচরিত নীতি অনুসরণ করেন।
খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা কাগজের তৈরি 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' চপ্পল সম্পর্কে বলেছেন, এটি মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখবে। একই সঙ্গে পুণ্যার্থীরা গ্রীষ্ম ও শীতের সময় খালি পায়ে হাঁটা থেকে সুরক্ষা পাবেন। তিনি জানান, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই চপ্পল তৈরি হওয়ায় সব ধরণের দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করবে। তিনি আরও জানান, এই ধরণের চপ্পল তৈরির জন্য খাদি শিল্পীদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়বে। কমিশন আগামী ১৪ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব এই চপ্পল বিক্রি শুরু করবে।