"চিল চিৎকার"রবীন্দ্রনাথ হালদার।আধুনিক কবিতা।১০/০৩/২০২২.-------------------------------------মরছে মানুষ,মারছে মানুষ কিন্তু তাহার কোনো বিচার নাই,মরা মানুষকে নিয়ে সবার আগে কিন্তু আমাদের রাজনীতিটা করা চাই।মরা মানুষের কি …
"চিল চিৎকার"
রবীন্দ্রনাথ হালদার।
আধুনিক কবিতা।
১০/০৩/২০২২.
-------------------------------------
মরছে মানুষ,মারছে মানুষ কিন্তু তাহার কোনো বিচার নাই,
মরা মানুষকে নিয়ে সবার আগে কিন্তু আমাদের রাজনীতিটা করা চাই।
মরা মানুষের কি আর থাকে কোনো জাতি ?
তবুও তা নিয়ে করা চাই আমাদের শুধুই জাতের নামে বজ্জাতি।
হয়েছে মানুষ খুন,হয়েছে ধর্ষণ তবু আজও তাহার কোনো বিচার নাই,
তবুও তা নিয়ে আমাদের সবার আগে রাজনীতিটা করা চাই।
আজও সেইসব ধর্ষিতা আর অত্যাচারিতরা পরে আছে আইনের ফাঁদে,
তাঁরা শুধু বিচারের দরজায় গিয়ে অঝোর নয়নে হাপুস-হুপুস কাঁদে।
সব ক্ষমতাহীন আর গরীব মানুষগুলো আজ বড় অসহায় হয়ে বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে,
তাঁদেরকে ব্যবহার করে শাসক আর শোষকদলের মানুষগুলো বেঁচে আছে কিন্তু ভীষণ সুখে!
আকাশে বেড়ায় উড়ে মাংসলোভী শকুন আর চিল,
দূর হতে দ্যাখে চেয়ে কিভাবে রাস্তায় পড়ে থাকে গরীব মানুষের লাশ করে কিলবিল।
আবার কখনো বা কখনো চিল আর শকুনের দল,
দূর হতে চেয়ে দ্যাখে কিভাবে সবল আর ক্ষমতাসীন মানুষের হাতে মার খেয়ে মরে দুর্বল।
বড় বিচিত্র আমাদের এই দেশ!
বিরোধী দল ক্ষমতায় গেলে পাল্টে ফ্যালে তাদের পুরাতন বেশ।
যারা যখন থাকে বিরোধী দলে,
তারাই তখন আবার গরীবের উন্নয়নের কথা বলে।
এরাই আবার ক্ষমতায় গেলে!
গরীবের দরজায় এদের টিকি কভু নাহি মেলে।
আসলে এখানে সকলের জন্য সবাই আছে কিন্তু গরীবের জন্য কেউ নেই,
তাই গরীবেরা আজও পড়ে আছে অতীতের মতো সেই, একই তিমিরেই।
আসলে এখানের গরীব মানুষগুলোর থাকে একটাই দোষ,
কারণে-অকারণে করে শুধুই আফশোস,
আর দেয় শুধু কপালের দোষ।
প্রতিবাদের ভাষা এদের জানা নাই,
তাইতো চালাক-চতুর মানুষগুলো যুগ-যুগ ধরে এইসব মানুষের উপর নির্বিচারে অত্যাচার করে তাই,
তাইতো শোষিত আর গরীব মানুষগুলোর এছাড়া আর অন্যকোনো ভূত-ভবিষ্যতই নাই।