দৈনিক কবিতা প্রতিযোগিতা ৯/৪/২২কবিতা - বিদায়! --মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
ফেলে আসা দিন গুলি আমায় যে পিছু ডাকে। একাকিত্ব আর নিসঙ্গতাআমাকে তিলে তিলে সঞ্চিত বারুদ বক্ষে আঘাত করে।আমি নিরুপায়।হতাশার বালুচরে সাদা-কালো মেঘের ঘনঘটা। পাথরের বুকে …
দৈনিক কবিতা প্রতিযোগিতা
৯/৪/২২
কবিতা - বিদায়!
--মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
ফেলে আসা দিন গুলি
আমায় যে পিছু ডাকে।
একাকিত্ব আর নিসঙ্গতা
আমাকে তিলে তিলে সঞ্চিত বারুদ বক্ষে
আঘাত করে।
আমি নিরুপায়।
হতাশার বালুচরে সাদা-কালো
মেঘের ঘনঘটা।
পাথরের বুকে আছড়ে পড়ে
প্রমত্তা সাগরের ঢেউ।
আমি দিশেহারা উদ্ভ্রান্ত নাবিকের মতো
ছুটে চলি পথহারা পথিকের বেশে।।
দগদগে ক্ষত বিক্ষত ঘায়ে
ভালবাসার প্রলেপ ঢেলে সাজানো
মিথ্যে অভিনয়।
ধরনীর বুকে টেনে নিয়ে যায়
একটি কালো গোলাপের গন্ধ।।
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে
বইছে বিস্তীর্ণ লুহাওয়া।
কবিতার খাতা জুড়ে আছে
মনের মধ্যে যত জল্পনা।।
কোথাও কেউ নেই
শুধু নিস্তব্ধ নিরবতা।
বকুল ফুলের গন্ধ
শুনতে কি পাও?
তুমি আসবে বৈকি খাঁটি বাঙালী বধু বেশে,
বসন্তের ঝরে পড়া শতকোটি ফুলের
হাতছানি মাড়িয়ে।।
আমি অনেক ফুলের হাতছানি মাড়িয়ে,
রবিবার সন্ধ্যা বেলা
তোমার দুয়ারে বসে
লিখে চলেছি প্রেমের কবিতা।।
ভালবাসার বাগান থেকে একটি গোলাপ
তুমি চেয়েছিলে।
শুধু একটা সাদা মেঘের মতো
সদ্য ফোটা গোলাপ।।
কেউ শোনেনি তোমার বুকফাটা আর্তনাদ
জ্বলন্ত বারুদের মতো
ঘুটঘুটে আঁধারে কেইবা শুনবে ইতিহাস।।
এই মাত্র হয়ে গেল
এক পশলা বৃষ্টি।।
কি! দারুন।
শীতের শেষ রাত
বসন্তের প্রথম আলো ঝরা ঝকঝকে দিন।।
জ্বানালা এখনো খোলা
পর্দাটা সরিয়ে শেষ বিকেলের রোদ
লুটোপুটি খায় নতুন বিছানায়।।
গ্রীলে লতানো ফুলেরা
মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
আজকের মতো
বিদায় কবি, বিদায়!