Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্লাডার ক্যান্সার সাপোর্ট গ্রুপ শুরু করলো মেডিকা

দেবাঞ্জন দাস; ১৩ মে: যেকোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রথমত যে জিনিস জন্ম নেয় তা হলো ভীতি। এই সময়ে সবচেয়ে যে জিনিস মানুষকে সুস্থ করতে সাহায্য করে তা হলো মানসিক দৃঢ়তা। তার সাথে নির্দিষ্ট রোগের সুচিকিৎসা এবং ও…



দেবাঞ্জন দাস; ১৩ মে: যেকোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রথমত যে জিনিস জন্ম নেয় তা হলো ভীতি। এই সময়ে সবচেয়ে যে জিনিস মানুষকে সুস্থ করতে সাহায্য করে তা হলো মানসিক দৃঢ়তা। তার সাথে নির্দিষ্ট রোগের সুচিকিৎসা এবং ওষুধপত্র তো আছেই। 


কোন মানুষ যদি শোনেন তার শরীরে ক্যান্সারের মতন রোগ দানা বেঁধেছে তাহলে তার মানসিক অবস্থা প্রথম ক্ষেত্রেই নিম্নমুখী হয়ে যায়। এবং তার ওপর তা যদি হয় ব্লাডার ক্যান্সার। এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে মানসিক দৃঢ়তার ব্যাপারটি সবচেয়ে বড় বিষয়। 


কোন রোগীর ক্ষেত্রে তাকে দেখাশোনা থেকে শুরু করে অন্যতম ভূমিকা থাকে তার পরিজন এবং বাড়ির লোকের। সেই মানসিক দৃঢ়তা রোগী এবং পরিজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে মেডিকা সুপারস্পেস্যালিটি হসপিটাল ব্লাডার ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে শুক্রবার ১৩ ই মে একটি বিশেষ ঘোষণা করল। 


ব্লাডার ক্যান্সার সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করেছে মেডিকা সুপারস্পেস্যালিটি হসপিটাল। এই গ্রুপটি প্রধানত ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, আত্মীয় পরিজন এবং যে সমস্ত রোগীরা ব্লাডার ক্যান্সার কে জয় করেছেন তাদের নিয়ে সংগঠিত। 


এদিন এই নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে মেডিকা সুপারস্পেস্যালিটি হসপিটাল ইউরোলজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার অভয় কুমার একথা ঘোষণা করেন।


ব্লাডার ক্যান্সার সম্পর্কিত বিশেষ তথ্য, রোগের উপসর্গ, ভুল ধারণা এবং রোগী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এই অনুষ্ঠানে। 


ডাক্তার অভয় কুমার জানান, ডোন্ট গো রেড টু আ ডক্টর - এই বছর ব্লাডার ক্যান্সার সচেতনতা মাসের থিম এটি। জীবনে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোন ভাবেই লজ্জা পেলে চলবে না। সচেতনতার অভাবেই ভারতে প্রতিবছর এই ধরনের কুড়ি হাজার নতুন কেস সামনে আসছে। যদি আগে ধরা পড়ে তাহলে ক্যান্সার চিকিৎসা সম্ভব।


তিনি আরো বলেন, ব্লাডার ক্যান্সার একটি সাধারণ ক্যান্সার যার চিকিৎসায় প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত চেকআপ। রোগী এবং তার পরিবারের এই বিষয়ে বিষয়ে উদ্বেগ এবং মানসিক চিন্তা হয়। তার জন্য দরকারি এই রোগের চিকিৎসায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন তাদের তরফ থেকে সাহায্য প্রয়োজন। এই কারণের জন্যই একটি সাপোর্ট গ্রুপ এর প্রয়োজনীয়তা ছিল আমাদের পূর্ব ভারতে যা বিরল। ব্লাডার ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে আমরা এই সাপোর্ট গ্রুপ বানিয়েছি, যার মাধ্যমে রোগীদের এবং তাদের চিকিৎসায় যুক্ত সকলকে রোগ চিকিৎসা এবং চিকিৎসার ফলাফল নিয়ে সাহায্য করতে পারি। এর ফলে একটি ফোরাম বানানো সম্ভব যার মাধ্যমে ব্লাডার ক্যান্সার যারা জয় করেছেন এবং তাদের পরিজনরা এক জায়গায় একজোট হয়ে নিজেদের জীবন কাহিনী ও চিন্তা একে অন্যকে বলতে পারেন এবং সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন যে কোন ভাবেই তারা একা নন। 


দেবপ্রসাদ ঘোষ, বিশ্বনাথ দে, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, রমেন মুখার্জি র মতন যে সমস্ত রোগীরা ব্লাডার ক্যান্সার কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সবাই নিজের নিজের অভিজ্ঞতা জানান। 


কি কারনে ব্লাডার ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন?


ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি রাজ্য যেখানে বহু মানুষের ব্লাডার ক্যান্সার হয়।


প্রতিবছর সারা বিশ্বে ৪,৩০,০০০ মানুষ ইনভেসিভ ব্লাডার ক্যান্সার এ আক্রান্ত হন।


বর্তমানে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন মানুষ সারা বিশ্বে ব্লাডার ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে আছেন।


যদি অতীতের ধূমপানের অভ্যাস থাকে কিংবা শিল্পাঞ্চলে কারসিনোজেন এর সংস্পর্শে আসা হয় এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিকযুক্ত জল বা ক্লোরিন মেশানোর জল খেলেও এই রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 


সচেতনতা হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে কোন রোগের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে উল্লেখ করেন ডাক্তার অভয় কুমার।