পাঁশকুড়াঃ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সেঁদরা পরব ও ফলহারিনী কালী পূজো উপলক্ষে পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষিরাই, হাউর সহ বেশকিছু এলাকায় পশু শিকারের প্রচলন রয়েছে।তবে বর্তমানে আদালতের নির্দেশে পশু শিকার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তাই বনদপ্তর কঠোরভাবে পশু শ…
পাঁশকুড়াঃ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সেঁদরা পরব ও ফলহারিনী কালী পূজো উপলক্ষে পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষিরাই, হাউর সহ বেশকিছু এলাকায় পশু শিকারের প্রচলন রয়েছে।তবে বর্তমানে আদালতের নির্দেশে পশু শিকার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তাই বনদপ্তর কঠোরভাবে পশু শিকার বন্ধের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পাঁশকুড়া ব্লক এলাকায় বনদপ্তর সেঁদরা পরব ও ফলহারিনী পুজোর অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই মাইক প্রচার,পোষ্টার এবং স্টেশনে স্টেশনে সচেতনতার শুরু হয়েছে। প্রচারের জন্য বাড়িবাড়ি গিয়ে আদিবাসী পল্লী এলাকায় গিয়েছেন বারংবার এলাকায় প্রশাসনিক কর্তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁশকুড়া বিডিও অফিসের সভাকক্ষে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়ার বিডিও ধেনদুপ ভূটিয়া,এস ডি পি ও তমলুক, বনদপ্তরের জেলা আধিকারিক সহ পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহসভাপতি সেক হানিফ মহম্মদ সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশকিছু মানুষজন।এদিন পশু শিকার বন্ধের জন্য প্রশাসনিকভাবে আবেদন করা হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনদের কাছে। বৈঠকে এলাকার মানুষকে যেমন সচেতন করার কথা উঠে আসে তেমনি যদি কেউ সরকারি আইনকে অমান্য করে পশু শিকার করে তাহলে সরকারি নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন বিভাগের প্রচার যাতে সকলের কাছে পৌছায় তার জন্য জেলা ও পাশের জেলার স্টেশন গুলিতে অডিওর মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে।
পরিবেশ কর্মী মধুসূদন পড়ুয়া জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন বিভাগের সাথে আমরাও বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ করার জন্য সচেতনতার বার্তা সাধারন মানুষের সামনে তুলে ধরছি। আদিবাসী ও সাধারন মানুষকে সচেতন করে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি সেক হানিফ মহম্মদ জানান, ১৯৭২ সালের আইন অনুযায়ী যাতে বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যা বন্ধ করা যায় জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়। শুধু অনুষ্ঠানের কয়েকটা দিন নয় সারা বছর যাতে প্রচার অভিযান চালানো যায় তা বৈঠকে আলোচনা হয়।।