Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২৩এর পঞ্চায়েত ভোটের ঢাঁকে কাঠি পড়লো ২১ জুলাই এর মঞ্চ থেকেই

তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা:গতকাল ছিল ২১জুলাই শহীদ দিবস। বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে মানুষের ঢল নামে ধর্মতলা চত্বরে। সকলের আগ্রহ ছিল তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় কি বার্তা দেন সে দিকেই।ছোট বড় নেতা যে যাই বলুন সকলেই চাইছিলেন মমতা বন্…

 



তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা:

গতকাল ছিল ২১জুলাই শহীদ দিবস। বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে মানুষের ঢল নামে ধর্মতলা চত্বরে। সকলের আগ্রহ ছিল তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় কি বার্তা দেন সে দিকেই।

ছোট বড় নেতা যে যাই বলুন সকলেই চাইছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন দলের কর্মীদের কি বার্তা দেবেন।

তিনি মঞ্চে এলেন।বক্তব্য রাখলেন।নানা প্রসঙ্গ টেনে আনলেন।বিজেপির শিরদাঁড়া বাঁকা বললেন।আরো বললেন দেশে একটি স্বচ্ছ দল ই থাকবে।আর তা তৃনমূল। 

স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ আজও অব্যাহত। যদিও তিনি বললেন কোন তৃনমূল কর্মী অন্যায় ভাবে টাকা তুললে তাঁকে সকলে মিলে আটকে থানায় নিয়ে যান।

বিরোধীদের অভিযোগ মমতা বন্দোপাধ্যায় মঞ্চে এসব বলেন।আর তার পুলিশ কে বলে রাখেন তৃনমূল কর্মী দের বিরুদ্ধে কোন এফ আই আর যেন পুলিশ না নেয়।

মমতা বন্দোপাধ্যায় পার্টী কর্মী দের উদ্দেশে বলেন,আপনারা সাইকেল নিয়ে গ্রামে ঘুরুন।পায়ে হেঁটে ঘুরুন।চায়ের দোকানে বসুন।চা খাওয়ান।কিন্তু চা দোকানদার কে পয়সা দিয়ে চা নেবেন।বিরোধীদের অভিযোগ গ্রামের তৃনমূল কর্মীরা মোটর সাইকেল শুধু নয় চারচাকার মালিক আজ মমতার সরকারের দৌলতে।পঞ্চায়েত প্রধানরা তো কোটিপতি।সুবিশাল অট্রালিকা সকলের।

তিনি আরো বলেন নয় ঠিকাদারী নয় তৃনমূল কিন্তু বাস্তবের ছবি কি তা নিয়ে ও বিরোধী দের কটাক্ষ ।

আগামী বছর রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট।

তৃনমূল বিজেপি সকলেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নামতে চাইছেন।

তৃনমূল ও দলকে নানা দোষ ক্রটি থেকে মুক্ত রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বচনে ভোট দানে তৃনমূল বিরত থাকছে বলে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ঘোষনা করার পর পর বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস আঙুল তুলেছে তৃনমূলের দিকে।বিজেপি কে ইচ্ছে করে জিতিয়ে দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে তৃনমূল। 

উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীশ ধনকড় বিজেপির প্রার্থী। মার্গরেট আলভা বিরোধী দলের।

এক সময় যে জগদীশ ধনকড় মমতার শত্রু ছিলেন তাকেই উপরাষ্ট্রপতি করবার জন্য মমতা মাঠে নেমেছেন। 

মহম্মদ সেলিম জানান সিবিআই ইডির হাত থেকে ভাইপো সহ দলীয় নেতাদের রক্ষা করতে মমতার এই পদক্ষেপ।এ ছাড়া এই দুর্নীতি গ্রস্ত দলটির উপায় কি আছে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কোর্ট কেস করেছে বলে চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না।বিকাশ বাবু জানান কেস বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী রা করেছেন।ওনার দল টাকা নিয়ে অযোগ্য দের চাকরি দেবে আর যোগ্যরা বসে থাকবেন তা কোর্ট শুনবে কেন।

কোর্ট অবশ্য নতূন নিয়োগ করতে বারন করেনি।

21 জুলাই শহীদ মঞ্চ থেকেই 23 এর পঞ্চায়েত ভোটের ঢাঁকে কাঠি পড়ে গেল।

বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য ঘিরে উথাল বাংলা।