দেবাঞ্জন দাস, ২৪ আগস্ট: সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি বলেছেন, ভারতীয় পরিকাঠামোকে আমাদের বিশ্বমানের করতে হবে। তিনি বলেন, ‘২০২৪ শেষ হওয়ার আগেই ভারতীয় পরিকাঠামো এমনকি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের সড…
দেবাঞ্জন দাস, ২৪ আগস্ট: সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি বলেছেন, ভারতীয় পরিকাঠামোকে আমাদের বিশ্বমানের করতে হবে। তিনি বলেন, ‘২০২৪ শেষ হওয়ার আগেই ভারতীয় পরিকাঠামো এমনকি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের সড়ক পরিকাঠামোকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সড়ক পরিকাঠামোর সম পর্যায়ে গড়ে তোলা হবে।’ মুম্বাইয়ে অ্যাসোসিয়েশন অফ কনসালটিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স আয়োজিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং সহযোগী শিল্পের পেশাদারদের এক জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার এবং শিল্প পেশাদারদের এই সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতে পরিকাঠামোর প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় পরিকাঠামোয় রাস্তা নির্মাণ, নদী সংযোগ, কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পার্কিং প্লাজা, জলসেচ,
বাসপোর্ট, রোপওয়ে এবং কেবল কার প্রকল্পে প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে।’ গড়করি বিভিন্ন চলতি প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, “আমরা ২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬টি গ্রীন এক্সপ্রেস মহাসড়ক এবং লজিস্টিক পার্ক গড়ে তুলছি। ঠিক একই সময়ে পরিকাঠামো যাতে আরও বেশি সম্প্রসারণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তা রয়েছে।” কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সারা পৃথিবী জুড়ে যে সফল কর্মপদ্ধতি চলেছে তাকে আমাদের দেশে গ্রহণ করতে হবে। গুণগত মানের সঙ্গে কোনরকম সমঝোতা না করে মূল্য সাশ্রয়ের স্বার্থে আমাদের বিকল্প পদার্থকে কাজে লাগাতে হবে। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সব থেকে মূল্যবান হচ্ছে সময়। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় সম্পদ।” সড়ক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে নতুন পরিবেশ বান্ধব বিকল্পের ওপর জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সিমেন্ট এবং অন্য কাঁচামালের ক্ষেত্রে আপনাদের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। স্টিলের বিকল্প হিসেবে গ্লাস ফাইবার স্টিল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একদিকে এর ব্যবহার যেমন যথাযথ হবে, অন্যদিকে প্রকল্প খরচও অনেকখানি কমবে।”
বিকল্প জ্বালানী ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গড়করি বলেন, গ্রীন হাইড্রোজেন হল ভবিষ্যতের জ্বালানী। তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম, কয়লা, বায়োমাস প্রভৃতি থেকে হাইড্রোজেন তৈরি করা যায়। তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন হল ডলার প্রতি ১ কেজি হাইড্রোজেন পাওয়া সম্ভব করা যা উড়ো জাহাজ, রেল পরিবহন, বাস, ট্রাক, কেমিকেল এবং ফার্টিলাইজার শিল্পের কাজে লাগানো যাবে। কয়লা এবং পেট্রোলিয়ামের বিকল্প হিসেবে তা ব্যবহৃত হতে পারবে।”
তিনি বলেন, এক লিটার ইথানলের দাম ৬২ টাকা। কিন্তু ক্যালোরি মূল্য হিসাবে যদি তার মূল্য নিরুপন করা যায় তাহলে দেখা যাবে ১ লিটার পেট্রোল ১.৩ লিটার ইথানলের সমপরিমান। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েল এক্ষেত্রে রুশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করেছে এবং বর্তমানে ক্যালোরি মূল্যের নিরিখে পেট্রোলের অনুরুপ হিসেবে ইথানলকে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “জ্ঞানই হল শক্তি। জ্ঞানকে সম্পদে রূপদানই হল ভবিষ্যৎ। নেতৃত্ব, দিশা এবং প্রযুক্তিগত ব্যবহার বর্জ্যকে সম্পদে রূপ দিতে পারে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি। জ্ঞানের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে আমরা একদিকে মূল্য সাশ্রয় করতে পারবো আর অন্য দিকে নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগত মানোন্নয়ন ঘটাতেও সমর্থ হবো।”