Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বুক চিতিয়ে চিতা তো এলো প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে

তরুণ চট্টোপাধ্যায় , কলকাতা 
ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২ তম জন্মদিন কে রঙচঙে রাখতে মোদী সরকার আফ্রিকা থেকে আনা আটটি চিতা ছাড়লেন কুনোর জঙ্গলে। তোফা তোফা।এই না হলে জন্মদিনের উপহার। সারাদেশ মেতে উঠলো সে ছবি দেখে। প্রধানম…

 


তরুণ চট্টোপাধ্যায় , কলকাতা 


ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭২ তম জন্মদিন কে রঙচঙে রাখতে মোদী সরকার আফ্রিকা থেকে আনা আটটি চিতা ছাড়লেন কুনোর জঙ্গলে। তোফা তোফা।এই না হলে জন্মদিনের উপহার। সারাদেশ মেতে উঠলো সে ছবি দেখে।
প্রধানমন্ত্রী বললেন,১৯৫২ সালে চিতাকে অবলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।তারপর দশকের পর দশক কেন্দ্রীয় সরকার আর চিতা ফিরিয়ে আনার কথা ভাবলো না। অথচ মোদী সরকারের উদ্যোগেই ফিরে এল চিতা।সে জনগনের উন্নয়নের চিতায় আগুন জ্বালিয়ে হলেও চিতা তো এলো।হারিয়ে যাওয়া চিতা নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ফিরলো তো।
দেশজুড়ে বেকারী,চাকরি নেই। সরকারী সংস্থা বিক্রি হচ্ছে, পেট্রাপণ্যর দাম আকাশ ছোঁয়া। তবুও চিতার মতো বুক উঁচিয়ে মোদী সরকার। 
তার ঘেরা উদ্যানের বাইরে ওয়াচ টাওয়ার। সেখানেই ছিল কপিকল।চোখে সানগ্লাস, মাথায় হান্টার ক্যাপ,কপিকল ঘোরাতেই মধ্যপ্রদেশের চম্বল এলাকার কুনো জাতীয় উদ্যানে পা পড়লো আফ্রিকার চিতার। ১৭ই সেপ্টেম্বর মোদির জন্ম দিনেই। চিতা তো এলো। জনগনের কি হবে ? প্রশ্ন তো ওঠেই। আটটি চিতা কিন্তু চাকরি কোথায়। হাজারো সমস্যার বেড়াজাল থেকে মানুষের মুখ ফেরাতেই কি এই চিতা বিতর্ক। চিতা এলেই বুঝি সমস্যার সমাধান। 
চিতা তো কুনোর জঙ্গলে খোজমেজাজে থাকবে
কিন্তু বেকার যুবকেরা কি সোজা হাঁটতে পারবেন।থাক সেসব সাতকাহন। চিতার আগমন নিয়ে রাজনীতির কথাতেই ফিরে আসি।
নামিবিয়ার অতিথিরা ঘুরে বেড়াক কুনোর জঙ্গলে। 
৭০বছর ধরে ভারতে চিতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে কংগ্রেস সরকারের দিকে ইতিমধ্যেই আঙুল তুলেছেন মোদী ও তাঁর বাহিনী। কংগ্রেসের অবশ্য যুক্তি মনমোহন সিং এর সময় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।তবে আইনের গেরোয় আটকে সে চিতা আসেনি ভারতে। চেষ্টা ছিল চিতা আনার।
এই সব কথাবার্তা এক তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান,আগে পায়রা ওড়াতাম,এখন চিতা ছাড়ছি।প্রসন্নতার হাসি প্রধান মন্ত্রীর ঠোঁটে। 
চিতা এসেছে আটটি। তা নিয়ে সংশয় নেই। তবে সেই চিতা দেখিয়ে কি মোদী সরকার চাইছেন আবারও কুর্সি দখল করতে। চিতা আনার পিছনে কি সেই সমীকরন কাজ করছে।
ভোট অবশ্য ২০২৩সালে। আমরা বরং চিতা কাহিনী তে আবারও মনোনিবেশ করি।
স্বাধীনতার পর এদেশে চিতা ছিল তিনটি।১৯৫২ সালে তাও অবলুপ্ত হয়। ঘোষনা হয় অবলুপ্তির কথা।
এবার আটটি চিতা এলো সুদুর আফ্রিকা থেকে ২০১১সালে এই চিতার জন্য রাজকোষ থেকে ৫০ কোটি দেওয়া হয়।
আটটি চিতার তিনটি পুরুষ, পাঁচটি মহিলা। এই বছরের শেষে আরো বারোটি চিতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেই চিতা যোগ করলে মোট চিতার সংখ্যা দাঁড়ায় কুড়িটি।এদের সন্তান হলে সে সংখ্যা আরো বাড়বে।পর্যটকের দল চিতা দেখতে ছুটবেন কুনোর জঙ্গলে। 
সব ঠিক হ্যায়। চিতার বিক্রমে এগিয়ে যেতে চাইছেন মোদীর সরকার। 
ঠিক এই সময়ে রাহূল গান্ধী ঘুরছেন রাজ্যে রাজ্যে।কংগ্রেসের দরকার দেশের স্বার্থে এই কথা বোঝাচ্ছেন আপামর জনসাধারণ কে।মোদী সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির খবর ছড়াতে ছড়াতে তিনি এগিয়ে চলেছেন।
আর মোদী জামার কলার উল্টে, হাতা গুটিয়ে চিতা ছাড়ছেন কুনোর জঙ্গলে। 
এ যে বড় রঙ্গ।একদিকে পাহাড় প্রমান বেকারী,দ্রব্য মূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। তিনি চিতা ছাড়ছেন।
চিতা ঘুরে বেড়াচ্ছে কুনোর জাতীয় উদ্যানে। 
জনগন বলছেন চিতা ছাড়ুন ক্ষতি নেই।তবে মানুষ কে চিতার আগুন থেকে বাঁচান।
সে কথা কি কানে যাচ্ছে শাসকের।
শাসক এখন চিতার আনন্দে মশগুল।
আট চিতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আকাশের দিকে।
বিজেপি কে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস ও তৃনমূল উভয়েই। তবে চিতা ছাড়া তো বন্ধ হয়নি।ভবিষ্যতে আবারও আসছে চিতা।
পায়রা উড়িয়ে শান্তির বার্তা নয়।চিতা ছেড়ে ক্ষমতা আটকে রাখতে চাইছে বিজেপি। 
জনগনের মন কোন দিকে।তা প্রমানিত হবে আগামী লোকসভার ভোটে।ততদিন চিতা নিয়ে চলুক চিতা কাহন।