। তরুণ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কারা মন্ত্রী ও রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।দেশের ও সংবিধানের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রাষ্টপতি।সেই রাষ্টপতি সম…
![]() |
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু |
। তরুণ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কারা মন্ত্রী ও রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।দেশের ও সংবিধানের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রাষ্টপতি।সেই রাষ্টপতি সম্পর্কে অখিল গিরির বক্তব্য প্রমান করে তিনি যা বললেন তা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়।একজন মন্ত্রীর মুখে সৌজন্যের ছিটেফোঁটা ছিল না সেদিন।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কারা মন্ত্রী ও রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।দেশের ও সংবিধানের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রাষ্টপতি।সেই রাষ্টপতি সম্পর্কে অখিল গিরির বক্তব্য প্রমান করে তিনি যা বললেন তা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়।একজন মন্ত্রীর মুখে সৌজন্যের ছিটেফোঁটা ছিল না সেদিন।
অখিল গিরি কে দেখতে খারাপ সে কথা রাষ্টপতি তো বলেন নি।বলেছেন নাকি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্পর্কে অখিল শুভেন্দুর মেসোমশাই ।আর সেই শুভেন্দু মেসোমশাই কে কাকের সঙ্গে তুলনা করায় তিনি রাগে অগ্নিবাণ। শুভেন্দুর হাত পা ভাঙার হূমকিও দিয়ে রেখেছেন।
শুভেন্দু ও অখিল গিরির সম্পর্কে কে কাকে কি বললেন তাতে মানুষের মাথা ব্যথা নেই এতটুকু। কিন্তু সেই মেসোমশাই যদি শুভেন্দু কে গালি দিতে গিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির উদাহরণ টেনে আনেন সেটি শুধু অসৌজন্য নয়,অপরাধ ও বটে।
দেশের রাষ্ট্রপতি একজন শিক্ষিতা মহিলা। আবার তিনি উঠে এসেছেন আদিবাসী সমাজ থেকে।সেই রকম এক ব্যক্তিত্ব কে অশ্লীল মন্তব্য করে অখিল শুধু তাঁকেই অপমান করলেন না,সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে দেশের মাথা নত করলেন।
দেশ জুড়ে অখিল গিরি কে গ্রেফতারের দাবি উঠছে।রাজ্যের নানা স্থানে বিক্ষোভ চলছে।
মানুষের মননে রাজ্যের মন্ত্রীর উক্তি নিয়ে ঝড় উঠছে।অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে।
তৃনমূল দল অবশ্য অখিলের বক্তব্য কে সমর্থন করেন নি,আবার মন্ত্রী কে তিরস্কার ও করেন নি।বিভিন্নস্থানে বাইপাশ করার চেষ্টা করে চলেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন,ঠিক কি বলেছেন আমি জানি না।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কুনাল ঘোষ ও নাকি কিছুই শোনেননি।
জলঘোলা যাই হোক তৃনমূল নেতা নেত্রী রা বিভিন্ন সভায় মুখ ফুসকে যে সব কথা বলছেন তাতে করে দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত যে হচ্ছে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
দল নেত্রী অবিলম্বে এই সব নেতা মন্ত্রীর মুখে লাগাম না পড়ালে অদূর ভবিষ্যতে দলকেই এর দাম দিতে হবে।
হাতে মাইক থাকলে ও অনুষ্ঠানে মানুষ থাকলে বাজার গরম যে করা যায় না একথা অখিল গিরিরা কবে বুঝবেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অখিলের মন্তব্য ঘিরে ভিন রাজ্যের মানুষ বাংলার দিকেই আঙুল তুলছেন।সে অধিকার কি অখিল গিরির আছে।
মন্ত্রী হতে গেলে যে অনেক বেশি দায়িত্ব বান হতে হয় অখিল গিরিরা সে কথা কবে বুঝবেন।