নিজস্ব সংবাদদাতা,বেলেবেড়া, ঝাড়গ্রাম......মাস খানেক আগে হরিয়ানার জিন্দ থানা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলেবেড়া থানায় আসে বেলেবেড়া থানার আড়াংডাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপ্রসাদ বাসুরী তাঁদের এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচালিত…
নিজস্ব সংবাদদাতা,বেলেবেড়া, ঝাড়গ্রাম......মাস খানেক আগে হরিয়ানার জিন্দ থানা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলেবেড়া থানায় আসে বেলেবেড়া থানার আড়াংডাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপ্রসাদ বাসুরী তাঁদের এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচালিত একটি আশ্রমে বছর দুয়েক হলো রয়েছেন। সিভিক ভলেন্টিয়ার কৌশিক সাউ মারফত এই খবর পৌঁছায় ভামালের বাসিন্দা রবিন ভূঞ্যার কাছে। রবিন বাবু এই বিষয়টি জানান ফেসবুক গ্রুপ "আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব"- এর অন্যতম পরিচালক রাজীব ভূঁইয়ার সাথে। রাজীববাবুরা যোগাযোগ করেন সুবর্ণরৈখিক পরিবারের দিল্লি টীমের সাথে। খবর পাওয়ার পরে তৎপর দিল্লি টিমের কমল কুমার রক্ষিত, সমীর দন্ডপাট, রণজিৎ পড়িহারী,প্লাবন ভূঁইয়া সহ দিল্লী টিমের অন্যান্যরা তৎপর হয়ে ওঠেন। দিল্লী টিমের পক্ষে সমীর দন্ডপাট, রণজিৎ পড়িহারী,সুজিত মহাপাত্র দিল্লী থেকে জিন্দে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এবং সেখান থেকে দুর্গাপ্রসাদ বাসুরিকে নিয়ে তাঁরা দিন কয়েক আগে দিল্লি ফেরেন। তারপর সমীর দন্ডপাট ও প্লাবন ভূঁইয়া দুর্গাবাবুকে নিয়ে ট্রেনে খড়্গপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
শনিবার রাতে তাঁরা হিজলি স্টেশনে নামেন। রবিবার সকালে দুর্গাববাবুকে আড়াংডাংরি গ্রামে তাঁর বাবা বলরাম বাসুরীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি বলরাম বাবু।তিনি সুবর্ণ রৈখিক ফেসবুক পরিবার সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ দুর্গাবাবু বছর ছয়েক আগে হঠাৎই গ্রাম থেকে নিঁখোজ হয়ে যান। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে তাঁর বাড়ির লোক খুঁজে পান নি।গ্রামের ছেলে গ্রামে ফিরতে খুশি গ্রামবাসীরা। রবিবার এদিন সকালে দুর্গাপ্রসাদ বাবুর বাড়ি ফেরার সাক্ষী হতে উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণ রৈখিক ফেসবুক পরিবারের সদস্যরা।