পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নাবালিকার বিয়ে ও পাচার রুখতে এবার তিন মাসব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। ১১ জানুয়ারি বুধবার তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুলে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। তিনমাস ধরে বিভিন…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নাবালিকার বিয়ে ও পাচার রুখতে এবার তিন মাসব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। ১১ জানুয়ারি বুধবার তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুলে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। তিনমাস ধরে বিভিন্ন স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা বিচারক সুযসা মুখার্জি, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ সচিব সমরেশ বেরা, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ অন্যান্যরা।
গোটা রাজ্যের মধ্যে নাবালিকা বিয়ের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। আবার, নাবালিকা পাচারেও সামনের সারির জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর রয়েছে। জেলা পুলিস ও প্রশাসনের লাগাতার চেষ্টার পরও নাবালিকা বিয়ে রোখা যাচ্ছে না।
গোটা রাজ্যের মধ্যে নাবালিকা বিয়ের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। আবার, নাবালিকা পাচারেও সামনের সারির জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর রয়েছে। জেলা পুলিস ও প্রশাসনের লাগাতার চেষ্টার পরও নাবালিকা বিয়ে রোখা যাচ্ছে না।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে গড়ে ৫০টি নাবালিকা বিয়ে এবং ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা হয়। তমলুক, ময়না, এগরা, কাঁথি, পটাশপুর প্রভৃতি থানা এলাকার এধরনের অভিযোগ বেশি। নাবালিকা বিয়ে রুখতে ব্লকস্তরে বিডিও থানার ওসি এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ধারাবাহিক মিটিংয়ের পরও এই ঘটনা আটকানো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ তিন মাস ব্যাপী এ নিয়ে আইনি সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব সমরেশ বেরা বলেন, নাবালিকা বিয়ে, ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায়ই ঘটছে।
এধরনের ঘটনায় রাশ টানা জরুরি। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতারণার ঘটনাও এখন বেড়েছে। এসব নিয়ে আমরা তিন মাসের বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিচ্ছি। জেলার বিভিন্ন স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এই আলোচনা হবে।
এধরনের ঘটনায় রাশ টানা জরুরি। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতারণার ঘটনাও এখন বেড়েছে। এসব নিয়ে আমরা তিন মাসের বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিচ্ছি। জেলার বিভিন্ন স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এই আলোচনা হবে।