হলদিয়া: বিরোধীদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুধু অধিবেশন বয়কট করলে বিধানসভার দায়িত্ব পালন করা হয় না। বিধানসভায় বিরোধীদের একটা মুখ্য ভূমিকা থাকে। তাঁরা সরকারের ত্রুটি …
হলদিয়া: বিরোধীদের দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুধু অধিবেশন বয়কট করলে বিধানসভার দায়িত্ব পালন করা হয় না। বিধানসভায় বিরোধীদের একটা মুখ্য ভূমিকা থাকে। তাঁরা সরকারের ত্রুটি বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে পারেন। ফলে মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ সহজ হয়। শুক্রবার সন্ধেয় হলদিয়া মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন বিধানসভার স্পিকার। তিনি বলেন, বিধায়কদের অনেকেরই সংবিধান নিয়ে স্বচ্ছ্ব ধারণা নেই। সেজন্য বিধানসভার শুরুতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সংবিধানের মূল কাঠামো বা প্রিঅ্যাম্বল পাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু অনেক বিধায়ক সহমত হতে পারেননি বলে সেটি কার্যকর হয়নি। কিন্তু সংবিধান না জানলে জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদের বেশি সুযোগ দেওয়া হয় যাতে ভুলত্রুটি তুলে ধরেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীও এবিষয়ে আগ্রহী। কিন্তু বিরোধীরা যদি বয়কটের রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকেন তাহলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়।
এদিন হলদিয়ায় শিল্পায়নের বার্তা দিয়ে সূচনা হয়েছে নবম হলদিয়া মেলার। স্পিকার থেকে মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর সকলেই হলদিয়ায় নতুন করে শিল্প বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে বার্তা দেন শিল্পমহলকে। জেলাশাসক এবং এইচডিএর চেয়ারম্যান বলেন, হলদিয়ায় শিল্প সংস্থাগুলি জমি চাইছে। এটাই পরিবর্তনের ঈঙ্গিত। এখন স্বচ্ছতার সঙ্গে কারখানায় ঠিকা শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োগ হচ্ছে। দু'বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বড় আকারে হলদিয়া মেলা হচ্ছে। হলদিয়া নতুন করে কর্মমুখর শুধু নয়, এখানকার মানুষও উৎসবমুখর হতে চাইছেন। সেজন্য সরকারিভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার ক্ষুদ্রশিল্প ও গ্রামীণ কুটির শিল্পকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে সবলামেলার আয়োজন করা হয়েছে হলদিয়া মেলা প্রাঙ্গণে। এদিন মেলার উদ্বোধনের শুরুতে এইচডিএ অফিস থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। ইএফআর ও পুলিস ব্যান্ডের সঙ্গে স্কুল পড়ুয়াদের শিল্পকলা, কীর্তন সহ গ্রামীণ লোকশিল্পের মেলবন্ধন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এদিন মেলা উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার কে অমরনাথ, এইচডিএর সিইও সুধীর কোন্থাম, প্রখ্যাত ফুটবলার বিদেশ বসু সহ জেলা পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা, বিধায়করা। তবে মেলার উদ্বোধনে দীর্ঘক্ষণ ধরে বরণের ঘটনা তাল কাটে অনুষ্ঠানের। ফলে শিল্প সংস্থার কর্তাদের মঞ্চে ডাকার পরও কাউকে বলতে না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বেশিরভাগ শিল্প কর্তারা নিচে বসে থাকলেও সরকারি মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের দাপাদাপিতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাছাড়া সরকারি মঞ্চে কেন বেসরকারি সংস্থা ও বন্দরের কার্গো হ্যান্ডেলিং এজেন্ট রিপ্লের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিল্প সংস্থাগুলিই। যদিও এইচডিএর চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনও শিল্পসংস্থার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়নি।