মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে আলোচনা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাড়ম্বরে পালিত হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।
বিজ্ঞানী সি ভি রমনের জীবন ও বিজ্ঞানে তাঁর অবদান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন…
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে আলোচনা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাড়ম্বরে পালিত হল জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।
বিজ্ঞানী সি ভি রমনের জীবন ও বিজ্ঞানে তাঁর অবদান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক কল্যাণ মাইতি ও ঋতিঙ্কর প্রধান। সি ভি রমনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার তাঁর বক্তব্যে জানান, এই ধরনের বিশেষ দিন পালনে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে, আশা করা যায়। এদিন ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনীও করা হয়। আর তাতে বেজায় খুশি ছাত্রছাত্রীরা। সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষিকা বনশ্রী দাস পড়িয়া, শ্রীমা দেবী করণ ও স্বাতী মণ্ডল।
প্রখ্যাত ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন ১৯২৮ সালে 'রমন এফেক্ট' আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারের দিনটি ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারিই। এ জন্য ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থে নোবেল পুরস্কার জেতেন। ১৯৮৬ সালে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন' এই দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ধার্য করে। এবং পরের বছর অর্থাৎ, ১৯৮৭ সালে এটি প্রথম পালিত হয়। এরকম একটি দিনের কথা ভাবা হয় -- যার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করা যায়।
শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয়, সমগ্র এশিয়ার মধ্যে তিনিই হলেন বিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী। তাঁর নোবেল-বিজয়ী গবেষণার সব টুকুই সম্পন্ন হয়েছিল কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এর ছোট্ট একটা গবেষণাগারে।
----