পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতীক্ষার অবসান।রাস্তাশ্রী প্রকল্পের মধ্যদিয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির সিঙ্গুর থেকে সূচনা করলেন। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এদিন পূর্ব মেদি…
পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতীক্ষার অবসান।রাস্তাশ্রী প্রকল্পের মধ্যদিয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির সিঙ্গুর থেকে সূচনা করলেন। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার দক্ষিণ গুমাই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের সূচনা করেন।
উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী, রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী তমলুকের বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্র, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, বিধায়ক সুকুমার দে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, সহ প্রশাসনিক আধিকারিক।
যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো রাস্তা। সে ছোট রাস্তাই হোক বা বড় রাস্তা। মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর " রাস্তাশ্রী" প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০০ কিমি রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তা ঠিকঠাক থাকলে যোগাযোগের মাধ্যম ঠিকঠাক থাকবে। আর তাতে শিল্পের ক্ষেত্রে হোক বা ব্যবসার ক্ষেত্রে আমদানি রপ্তানি করা সহজে হবে। মানুষের সুবিধার দিকে নজর রেখে রাস্তা নির্মান বা সংস্কারে ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৫ টি ব্লকে প্রায় ১৩২কোটি টাকা খরচ করে৩৮৮ কিমি রাস্তা যার মধ্যে ৪১৭ টি নতুন রাস্তা রয়েছে।রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের ভীষন সুবিধে। এলাকার সামাজিক ও বানিজ্যিক উন্নয়ন ঘটবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি প্রধান এলাকা। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। আগে মাঠের ফসল আনতে সমস্যায় পড়তে হতো কাদার মধ্যদিয়ে যাতায়াত করতে হতো।
তৃণমূল সরকার আসার পর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাচা রাস্তাকে ঢালাই আবার কোথাও পিচ রাস্তায় রুপান্তর করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য একদিকে যেমন রাস্তাশ্রীর মাধ্যমে প্রান্তিক এলাকার কাচা রাস্তা গড়ে উঠবে তেমন ১০০ দিনের কাজের সাথে যুক্ত মানুষজন কাজে যুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের যারা ১০০ দিনের কাজ করেছেন তারা তাদের বকেয়া পাচ্ছে না। তাদের হাতে যাতে কিছু অর্থ তুলে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।