Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ কাঁথির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁথি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল শিক্ষককে

কাঁথি : রাজ্যের চাকুরি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এখনোও পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দ…

 


কাঁথি : রাজ্যের চাকুরি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এখনোও পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দী রয়েছে। একাধিক চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ অভিযোগে গ্রেফতার হল স্কুল শিক্ষক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির এক শিক্ষক। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কাঁথি থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে। 


পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক জানা। তাঁর বাড়ী ভূপতিনগর থানার মূলদা গ্রামে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি কাঁথি শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডে করকুলি এলাকায় থাকতো। অভিযুক্তকে রবিবার কাঁথি আদালতে পেশ করবে পুলিশ। নিজেদের হেফাজতে আপিল করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। গ্রেফতার দীপক জানার বিরুদ্ধে একটি চাকরি নয় একাধিক চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে।

এমন অভিযোগ পেয়ে নড়ে চড়ে বসেছে কাঁথি থানার তদন্তকারী থেকে জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। গ্রেফতার দীপক জানা শ্বশুর বাড়ি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ী শান্তিকুঞ্জ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। 


ঘটনার সূত্রপাত, গ্রেফতার দীপক জানা কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া জগন্নাথ মন্দির বিদ্যাপীঠে ইংরেজির শিক্ষক। এদিকে আবারও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাঁথির কুরকুলিতে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকতো দীপক কুমার জানা। ২০১৭ সাল থেকে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলে পেশায় শিক্ষক দীপক জানা বলে অভিযোগ। তার মাঝে চাকরি নিয়োগের অভিযোগ উঠে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তৎকালীন সময় পেশায় শিক্ষক হলেও দীপক জানা অনেকটাই প্রভাবশালী ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক রাজশেখর মান্থার এজলাশে ৫ কোটি টাকায় চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ মামলার দায়ের করেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাঁথি শহরে। 


তারপরেই প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা টাকা ফেরতের দাবিতে শিক্ষক দীপক জানার বাড়িতে চড়াও হয়। এরপর মার্চ মাসে শেষ সপ্তাহে ও এপ্রিল মাসে প্রথম সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা বাসিন্দা অঞ্জলি গুচ্ছাইত ও কাঁথি কিশোরনগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ তাদের ফুড সাপ্লাই দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ / ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এদিকে আবারও কাঁথি শহরের ২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গণেশ বানিয়া হাইস্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে নড়ে চড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক জানাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দীপক জানার বিরুদ্ধে দুই মেদিনীপুর জেলার একাধিক চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ এমনটাই সূত্র মারফত জানাগেছে। 


কাঁথি থানার এক পুলিশ আধিকারীক বলেন " এখনোও পর্ষন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই মেদিনীপুরের ৩ জন চাকরি দেওয়া টাকা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিওিতে তদন্তে নেমে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের কারণে মুখ খুলতে রাজী হয়নি "।