দেবাঞ্জন দাস: বাড়ির শিশুকে বা সন্তানকে সমস্ত রকম ভাইরাল রোগ থেকে দূরে রাখার জন্য আপনাদের কিছু নিয়ম পালন করলেই হবে। দিনে অন্তত একবার যোগব্যায়াম, এবং খোলা আকাশে এর নিচে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। অযথা বাচ্চাদেরকে মাস্ক পড়িয়ে…
দেবাঞ্জন দাস: বাড়ির শিশুকে বা সন্তানকে সমস্ত রকম ভাইরাল রোগ থেকে দূরে রাখার জন্য আপনাদের কিছু নিয়ম পালন করলেই হবে।
দিনে অন্তত একবার যোগব্যায়াম, এবং খোলা আকাশে এর নিচে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
অযথা বাচ্চাদেরকে মাস্ক পড়িয়ে রাখবেন না। কখনোই তাদের শরীরে যেন অক্সিজেনের অভাব না হয়। তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর দিকে মন দিন যেটি খেলাধুলা, সঠিক খাওয়া দাওয়া, সঠিক জল, পরিমাণ মতো ঘুম এবং সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি করতে হবে।
যদি সন্তানদের বা শিশুদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখেন তাহলে অবশ্যই তাদের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার দিকে আপনাকে মন দিতেই হবে।
খেলাধুলা: রোদ বা সূর্যের আলো, এটির থেকে বড় অ্যান্টি ভাইরাল আর দুটি নেই। নিজের সন্তানকে বা শিশুকে একটু রোদ্দুরে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিন বা তাকে খেলার জন্য অনুপ্রেরণা জাগান। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। খেলাধুলার সুযোগ না থাকলেও বাড়ির ছাদে বা খোলা জায়গায় যোগব্যায়ামের অভ্যাস করান আপনার সন্তানকে। চেষ্টা করুন আপনার সন্তান অন্তত যেন কুড়ি মিনিট রৌদ্রের নিচে থাকে প্রত্যেকদিন। কেজির পর কেজি বিভিন্ন হেলথ ড্রিংকস খেলেও তার শরীরে ক্যালসিয়াম বা অন্যান্য গ্রোথ হরমোনের পরিমান সঠিক হবেনা কিন্তু সূর্যের আলোর নীচে খোলা হাওয়ায় যোগব্যায়াম বা খেলাধুলার মাধ্যমে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনে তার থেকে বেশি পরিমাণ রেজাল্ট আপনারা লাভ করবেন গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি।
খাওয়া দাওয়া: খাওয়া-দাওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি শিশু বা বয়স্ক প্রত্যেকের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য। এটিই আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে শক্ত সামর্থ্য করে তোলে এবং ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য ফরেন এলিমেন্ট এর সঙ্গে লড়াই করার শক্তি যোগায়। মাথায় রাখতে হবে শিশুদের খাবারের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ যেন সঠিক হয়। প্রোটিনের জন্য কোন হেলথ ড্রিংকস খাওয়ার কোন দরকার পড়ে না, আমাদের বাড়িতে এমন অনেক খাবার দাবার থাকে যেগুলি প্রোটিনের সোর্স ওই হেলথ ড্রিংকসের থেকে অনেক গুণ বেশি,মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছোলার ডাল, মটর ডাল, বা অঙ্কুরিত ছোলা বা মটর, যেকোনো গাড়ো রঙের শাকসবজি, ডিমের সাদা অংশ, যেকোনো ধরনের মাছ- মাংসও প্রোটিনের পরিমাণ প্রচুর মাত্রায় থাকে। কার্বোহাইড্রেট বা কোলেস্টেরল ছাড়া ব্রেনের বিকাশ অধরা থাকে, তাই ডিমের কুসুম বা অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার সঠিক পরিমাণে খাওয়ানো উচিত আপনার সন্তানকে। ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় খাদ্য শরীরকে অনেক সময় ধরে অনেক পরিমাণ শক্তি প্রদান করে, তাই সন্তানের যদি খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা নিয়মিত থাকে তাহলে তাকে ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় খাদ্য দেওয়া একান্তই দরকার।
দুপুরবেলা খাওয়ার পর টক দই খাওয়া যেতে পারে, সেটিতে গুড় মিশিয়ে, তবে নুন যেন একদমই না দেওয়া হয়। দুধ সব সময় সূর্য ডোবার পরে খাওয়া উচিত । পৃথিবীতে সব থেকে বেশি পরিমাণ মানুষের ক্যান্সার হয় প্রসেসড ফুড বা প্রসেসড মাংস খেয়ে, তাই যতটা সম্ভব বিভিন্ন বিভিন্ন কোম্পানির কাউন্টার থেকে মাংসের তৈরি করা কোন জিনিস বা খাবার খাওয়া উচিত নয়।
চেষ্টা করবেন আপনার সন্তান বা শিশুর খাবারের প্লেটে সব রকম স্বাদের খাবার যেন অল্প অল্প করে থাকে। এবং রাত্রিবেলা শোবার অন্তত দু'ঘণ্টা আগে আপনার সন্তানের খাওয়া-দাওয়া শেষ করা উচিত। জানিয়ে রাখি এটি যে কোন বয়সের ক্ষেত্রেই ভীষণভাবে উপকারি।
সঠিক জল: সবার আগে বলি বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের কোল্ড ড্রিঙ্কস ভুল করেও খাওয়াবেন না । কিডনি সংক্রান্ত রোগ হওয়ার মেইন কারণ হিসেবে এই কোল্ড ড্রিংস এর নাম নেওয়া যেতেই পারে । যতটা সম্ভব নিজের সন্তানকে আল্ট্রা হাই ফিল্টার করা জল খাওয়াবেন না । একটি নরমাল ক্লাসিক ফিল্টার যথেষ্ট । কিন্তু বর্তমান সমাজে আমরা অত্যধিক ফিল্টার করা জল খেয়ে নিজেদের ইমিউনিটি পাওয়ার কে আরো তলায় নামাচ্ছি । খেয়াল রাখবেন জল পিপাসা পাওয়া সত্ত্বেও যেন আপনার সন্তান পিপাসিত না থাকে । পিপাসা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন জল খায়। জ্বর সর্দি কাশি এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে, যতটা পরিমাণ বেশি করে জল খাওয়া যায়, কষ্ট না পেয়ে, খাওয়া উচিত।
গ্রীষ্মকালে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো উচিত। খেলাধুলা করার পর বা বাইরে থেকে অনেক কাজ করে আসার পর কখনই জল খাওয়া উচিত নয়, শরীরকে ঘরের টেম্পারেচারে আনার পর তারপর জল খেতে পারেন।আপনার সন্তানকে বা বাচ্চাদের অবশ্যই গ্লাসে করে চুমুক দিয়ে জল খেতে দিন।
প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়ানো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একদমই উচিত নয়। আমাদের শরীর ৭০ শতাংশ জল দিয়ে তৈরি, তাই সঠিক জল এবং সঠিক পরিমাণ জল আপনার সন্তানকে কখনোই রোগগ্রস্ত হতে দেবে না।
পরিমাণ মতো ঘুম : শিশুদের ঘুম তাদের ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে । দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়ার পর অল্প সময়ের জন্যও ঘুম আপনার সন্তানের শরীরকে আবার নতুন উদ্যমে দৌড়ানোর জন্য প্রস্তুত করে । চেষ্টা করবেন আপনার সন্তানকে রাত্রে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে, ভোরবেলা যতটা আগে উঠানো যায় ।
কতটা পরিমাণ ঘুমানো উচিত সেটি বললাম না, কারন যার শরীর যত বেশি ক্লান্ত তার ঘুমের পরিমাণ ততটাই বেশি হবে, এবং আপনি না চাইলেও শরীর সেটি চেয়ে নেবে। তবে বাচ্চাদের ঘুমোনোর ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেইটির দিকে নজর রাখতে হবে।
সঠিক শিক্ষা: প্রত্যেককে নজর রাখতে হবে যে তাদের সন্তান বা শিশুদের উপর কখনোই যেন হিংসা-বিদ্বেষ, রাগ, ঘৃণা এগুলো চাপিয়ে না দেওয়া হয়, বা অন্যভাবেও বলতে পারি যে শিশুরা যদি কারোর প্রতি রাগ, ঘৃণা, হিংসা এগুলি প্রকাশ করে তাদেরকে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্ত করে সঠিক শিক্ষাটা দেওয়া উচিত। রাগ, ঘৃণা, ভয়, বিদ্বেষ এগুলি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে অনেকটা উইক বা দুর্বল করে দেয়।
রাগ হিংসা বিদ্বেষ এগুলি আপনার হৃদয়কে অনেকটা বেশি দুর্বল করে দেয় এবং পরবর্তীকালে হৃদ রোগের ও সমস্যার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রত্যেক সোম, বুধ, শুক্র রাত্রি ন'টা থেকে দশটা আমরা একটি google meet মাধ্যমে ফ্রিতে বিভিন্ন রোগের উপরে চর্চা করে থাকি এবং তার হোম রেমেডি আমরা দিয়ে থাকি।
যদি আপনারা ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই নাম্বারে 9804831785 আপনি "MNC MEET" এই লেখাটি লিখে হোয়াটসঅ্যাপ করবেন আমরা ওই গ্রুপে আপনাকে জয়েন করিয়ে নেব এবং লিংকটি শেয়ার করে দেব যাতে আপনারাও ওই ট্রেনিংয়ে আসতে পারেন।
ABHISEK BHATTACHARYA
Doctor Of Naturopathic Medicine And Advance Diploma,Health And Nutrition Life Coach,Fully Accredited Certificate In Natural Medicine And Herbalism,Specialization In Diabetes Management From UEMS-EACCME
(Institution Of European Union Of Medical Specialist)
Consultancy :: +91 8777577438