Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাবার খাবারের দোকানে সময় দিয়ে, মায়ের পাওয়া লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকায় বই কিনে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় তমলুকের চন্দ্রবিন্দু, আগামীদিনে হতে চায় গবেষক

তমলুক: পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সংসার চালাতে তমলুক শহরে একটি খাবারের দোকান খুলেন উচ্চমাধ্যমিক মেধাতালিকা যুগ্ম তৃতীয় স্থানে থাকা চন্দ্রবিন্দু মাইতির বাবা তপন মাইতি। সেই খাবার দোকানে হাত লাগাতো চন্দ্রবিন্দু। দোকান…

 


তমলুক: পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সংসার চালাতে তমলুক শহরে একটি খাবারের দোকান খুলেন উচ্চমাধ্যমিক মেধাতালিকা যুগ্ম তৃতীয় স্থানে থাকা চন্দ্রবিন্দু মাইতির বাবা তপন মাইতি। সেই খাবার দোকানে হাত লাগাতো চন্দ্রবিন্দু। দোকানের অবসর সময় পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৪ নম্বর পেয়ে তৃতীয়  হয়েছে তমলুকের শংকরআড়া এলাকার চন্দ্রবিন্দু মাইতি।

সেই তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলো। তার এই সফল্যে খুশি পরিবারের লোকজন থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সহপাঠীরা। চন্দ্রবিন্দু আগামীদিনে আইআইটিতে গবেষণা করা। মা নীলিমা মাইতি জানান, আমাদের গরিবের সংসার। সংসার চালানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি খাবারের দোকান খোলা হয়। সেই দোকানে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। 

চন্দ্রবিন্দু ও তার ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য নিজের গহনা ও বাড়ির জমি বিক্রি করা পাশাপাশি  আত্মীয় পরিজনের সাহায্য  নিয়ে চলতে হচ্ছে। আগামীদিনেও তার পড়াশোনার জন্য আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেস্টা করে যাবো।চন্দ্রবিন্দু ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো।তার এই সফল্যে শত দুখ কষ্টের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। চন্দ্রবিন্দু যাতে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে তার চেস্টা করে যাবো। 

অতিরিক্ত জেলাশাসক দিব্যা মরুকেশন

চন্দ্রবিন্দু মাইতির সাফল্যে বাড়িতে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক দিব্যা মরুকেশন, তমলুকের মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, সহ প্রশাসনিক আধিকারিক। অতিরিক্ত জেলাশাসক দিব্যা মুরুকেশন চন্দ্রবিন্দু মাইতির মায়ের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নেন লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় কিনা। তখনই জানা যায় চন্দ্রবিন্দুর মা নীলিমা দেবী লক্ষীর ভান্ডারে টাকা পেয়ে  সেই টাকায় ছেলের বই কিনে দিতেন। অতিরিক্ত জেলা শাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা চন্দ্রবিন্দুর এর সাফল্যে আনন্দিত।