তমলুক: তৃণমূল ছাড়াই ভোটে লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৭ নম্বর আসনে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক দুর্নীতির দায়ে বর্তম…
তমলুক: তৃণমূল ছাড়াই ভোটে লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৭ নম্বর আসনে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর পরিবর্তে সেখানে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। ফলত, ওই আসনে এবার তৃণমূলমুক্ত লড়াই হতে চলেছে। লড়াইয়ে আছেন বিজেপির লক্ষ্মণ গুড়িয়া, সিপিএমের শ্রীকান্ত পাল, আম প্রতীকের নির্মল কুইল্যা আর বটগাছ চিহ্নের পূর্ণচন্দ্র তুঙ্গ।
প্রসঙ্গত ওই গ্রাম সভার আসনটি ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে তার ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজী নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।
সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শোনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। ক্ষুব্ধ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয় এবং গ্রেপ্তার হন সুকুমার নায়েক। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ' সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইলা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে ভোটে কোন অসুবিধা হবে না, গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।'