বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ৫১পীঠের এক পীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। লাল সুতোর ধাগা পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করা এই পুজো…
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ৫১পীঠের এক পীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়
কথিত আছে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। লাল সুতোর ধাগা পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করা এই পুজোর নিয়ম। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলাদের ব্রত। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত ৫১ পীঠের একপিঠ বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা। ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দেয় বাঙালি মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ।
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পুজিত হন এই দেবী। সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ হলেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষজনেরা এই মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো দিতে হাজির হন।