নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর....মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাটা, সিজুয়া থেকে নয়াগ্রাম রাস্তার উভয় দিকে পলাশ অমলতাস, জারুল দিয়ে ভরিয়ে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন বেশ কয়েকজন পরিবেশ প্রেমী মানুষ। মূল উদ্যোক্তা নয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের…
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর....
মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাটা, সিজুয়া থেকে নয়াগ্রাম রাস্তার উভয় দিকে পলাশ অমলতাস, জারুল দিয়ে ভরিয়ে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন বেশ কয়েকজন পরিবেশ প্রেমী মানুষ। মূল উদ্যোক্তা নয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রেমী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিপ্লব আর্য ও পরিবেশ প্রেমী শিক্ষক মনিকাঞ্চন রায়। মণিকাঞ্চন বাবু বছর কয়েক ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পলাশ গাছকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেশপুর থেকে মেদিনীপুর বা মেদিনীপুর থেকে কঙ্কাবতী রাস্তার উভয় দিকে পলাশের সমারোহ ঘটাতে তৎকালীন জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের শরণাপন্ন হয়ে এইসব জায়গাতে পলাশ চারা লাগাতে অনুরোধ করেন। প্রশাসনের উদ্যোগে এই স্থানগুলোতে পলাশ চারা লাগানো হয়। সেগুলো এখন সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে।শালবনী ব্লকের বিভিন্ন জায়গাকে পলাশ দিয়ে ভরিয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন শালবনি বিডিও সঞ্জয় মালাকার,সেকাজেও সাথে ছিলেন মণিকাঞ্চন বাবু। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিদ্যালয়, সংগঠন কে পলাশ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করে নিজে থেকে পলাশ চারা দিয়ে সহযোগিতা করে চলেছেন মণিকাঞ্চন বাবু। শনিবার তারই অঙ্গ হিসেবে নয়াগ্রাম রাস্তায় পলাশ লাগানো হলো। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী শিক্ষক শিল্পী নরসিংহ দাস, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় দে, শিক্ষক বিপ্লব আর্য, শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায় সহ অন্যান্যরা।
নরসিংহ বাবুর কথায় "সারাবছর নানান জনকে নিজ খরচে মনিকাঞ্চন পলাশ সহ একাধিক গাছ প্রদান করে থাকেন। এর মাধ্যমে গাছের প্রতি মানুষের ভালোবাসা জাগানোর কাজ করে যাচ্ছেন। উনার এই নেশা টা অনেকে উদ্বুদ্ধ করছে প্রতি নিয়ত। এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে"। বিপ্লব বাবু বলেন , "আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত, স্থানীয় ক্লাব, স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে রাস্তার ধারে পলাশ চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী নিলাম। আশা করবো সকলে মিলে এই উদ্যোগ সফল করতে পারবো এবং আগামীদিনে পলাশ সমারোহ বাড়বে মেদিনীপুর জেলাতেও"।
মনিকাঞ্চনবাবু বলেন "মানুষের অনেক রকম শখ থাকে, আমার একটাই শখ, গাছ লাগাবো, গাছ লাগাতে উৎসাহ দেবো।গাছ বাঁচাবো সকলে মিলে।তাহলে সবুজের ঘাড়তি কমবে। গাছের খুব প্রয়োজন, নিজ সন্তান স্নেহে বছরে একটা গাছের দায়িত্ব সবাই নিলে আমাদের দেশে সবুজের ঘাড়তি থাকবে না।"