Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চাষীদের ধান রোয়ার কাজ প্রায় শেষের মুখে, কচুরিপানা পরিষ্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ বিভিন্ন খালে পূর্ব মেদিনীপুরে

বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকবর্ষাকালীন চাষের কাজ প্রায় শেষের দিকে , শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাস আসতে যাচ্ছে ,শেষ মুহূর্তে খালে কচুরিপানা সহ আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করল সেচ দপ্তর। তমলুক ডিভিশন এলাকায় ১১ টি নিকাশি খালে …

 


বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক

বর্ষাকালীন চাষের কাজ প্রায় শেষের দিকে , শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাস আসতে যাচ্ছে ,শেষ মুহূর্তে খালে কচুরিপানা সহ আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করল সেচ দপ্তর। তমলুক ডিভিশন এলাকায় ১১ টি নিকাশি খালে কচুরিপানা সহ জঞ্জাল পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল বিভাগীয় দপ্তর। আর এই সিদ্ধান্তে চাষিরা বলতে শুরু করেছে ধান রোয়ার কাজ তো শেষের দিকে এখন কচুরিপানা ও জঞ্জাল পরিষ্কার করার দরকার কি রয়েছে। উল্লেখ করা যায় এই জঞ্জাল ও কচুরিপানার জন্য মূল নদী থেকে যে শাখা খালগুলি প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন মৌজায় গেছে বর্তমানে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জল নিকাশি। কচুরিপানা ও জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এই টাকার অ্যাপ্রুভাল এসেছে বলে জানানো হয়েছে সেচ দপ্তর থেকে। যে গুরুত্বপূর্ণ খাল গুলি পরিষ্কার করা হবে সোয়াদিঘি, দেহাটি, টোপা, খরিচক, মুরাইল, জয় গোপাল, শংকরআড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ ব্যাপারে স্কিম জমা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এসডিও দের। স্কিম জমা পরার পরেই ওয়াক অর্ডার দেওয়া হবে। ঠিকঠাক চললে আগস্ট এর মধ্যেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। উল্লেখ করা যায় দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি খাল গুলি সংস্কার না হওয়ায় খালগুলিকে কচুরিপানা সহ নানা ধরনের আবর্জনা জমে জল নিকাশি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। চাষীদের চাষ করার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এবারে বড় ধরনের বর্ষা না দেখা গেলেও নিকাশি খাল গুলি সংস্কার না হওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান জল জমে থাকতে দেখা গেছে গ্রামগঞ্জের গ্রামগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টিতে অন্যান্য বছর গুলিতে। এ বিষয়ে জেলা বন্যা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ও সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এবং জেলা শাসককে একাধিকবার ডেপুটেশন ও স্মারক লিপিও দেওয়া হয়েছে। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক দেনান, চাপদা, গাজই ,গঙ্গাখালি মতো শাখা খাল গুলি সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দাবি রাখেন চাষীদের স্বার্থে এই খালগুলিতে কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হোক।