উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাইতো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষার শুরু হয় বাংলা নানা প্রান্তে।…
উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাইতো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষার শুরু হয় বাংলা নানা প্রান্তে। তাই এই পুজোর জন্য সারাটা বছর ধরে দিন গুনতে থাকেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন পূজার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে তমলুক ইউথ স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে সোমবার খুঁটি পূজার আয়োজন করা হয়। তবে এই খুঁটিপূজো ধারণা এসেছে শত বছরের পুরানো রীতি থেকে, আগে পূজো মানে ছিল বনেদি বাড়ির পুজো। তখনকার দিনের পূজো এখনকার পাড়ার পুজোর মতো ছিল না। না ছিল পুজোর কোন থিম না ছিল দেবীকে ভিন্নভাবে সাজানোর প্রতিযোগিতা । রথযাত্রার দিন থেকে বিভিন্ন ঠাকুরবাড়ির দালানগুলিতে প্রতিমার কাঠামো পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতো দূর্গা পূজার প্রস্তুতি। খুঁটি পূজার পাশাপাশি এদিন সামাজিক কাজকর্ম হিসেবে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ক্লাবের সদস্য সদস্যরা ছাড়াও রক্তের সংকট মেটাতে আশেপাশের সাধারণ পুরুষ ও মহিলারা এগিয়ে আসেন রক্তদান করার জন্য। এছাড়াও খুঁটি পূজার পাশাপাশি এদিন ইউথ স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন তমলুক শহরের সংকর আড়া খালের ওপরে একটি ঘাটের ও উদ্বোধন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান লীনা মভই রায়, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাড়া, দেবশ্রী মাইতি, গৌতম পাল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ক্লাবের সদস্য সদস্যরা।
এ বছরের এই ক্লাবের পুজো ৩০ তম বর্ষে পদার্পণ করল, এ বছরের থিম রয়েছে উড়িষ্যা ধবলগিরি মন্দির, পুজোর বাজেট রয়েছে, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। পূজোর পাশাপাশি থাকছে, নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনটাই জানান তমলুক ইউথ স্পোটিং ক্লাবের সম্পাদক চন্দন ঘোড়াই।