পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবার ভগবান কৃষ্ণের জন্ম তিথি। সর্বত্রই শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে জন্মাষ্টমী পালনের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তমলুকের ব…
পূর্ব মেদিনীপুর: বুধবার ভগবান কৃষ্ণের জন্ম তিথি। সর্বত্রই শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে জন্মাষ্টমী পালনের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে সংস্কার ভারতীর পক্ষ থেকে গত ১৯ বছর ধরে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে আসছে। এবছরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। বুধবার বিকেলে প্রতিযোগী ও ভক্তদের ভীড় ছিলো দেখার মতো।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় জন্মাষ্টমী উৎসব ।
যে বিশেষ নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল সেই বিরল যোগ আজ ৬ই সেপ্টেম্বর । আজ থেকে সারা দেশ তথা বিশ্বজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা মহা ধুমধামের সাথে পালন করছেন মহাজন্মাষ্টমী উৎসব।
হিন্দুধর্মে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনেই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।
পুরাণ মতে, কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার বলেই মনে করা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন বিভিন্ন মন্দির ও ঘরে ঘরে কৃষ্ণ জন্মতিথি ও পুজোর বিশেষ আয়োজন করা হয়। সাধারণত বৈষ্ণবদের কাছে এই উত্সবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
হিন্দু মতে, রাত ১২টা নাগাদ বিধি-আচার মেনে কৃষ্ণের পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে মথুরা-বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বিশেষ জাঁকজমক করে পালন করা হয়।
তমলুক বর্গভীমা মন্দির এর পাশাপাশি তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরে প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী কৃষ্ণসাজো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের সেবাইত গৌর কৃষ্ণ দেব গোস্বামী বলেন শুধু তমলুক শহর নয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতার মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।