Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্যস্ততা তুঙ্গে নন্দকুমারের মালাকার পাড়ায়,প্রতিমার গহনা থেকে পুজোর সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা

নন্দকুমার: আর মাত্র কয়েকটা দিন বাদেই বাঙালির পুজোর মরশুম শুরু। বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সূচনা হয়ে থাকে। হাতে সময় কম। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে মালাকার পাড়ায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের মালাকায় পাড়ায় ১০/১৫ টি পর…



নন্দকুমার: আর মাত্র কয়েকটা দিন বাদেই বাঙালির পুজোর মরশুম শুরু। বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সূচনা হয়ে থাকে। হাতে সময় কম। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে মালাকার পাড়ায়।


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের মালাকায় পাড়ায় ১০/১৫ টি পরিবারের কয়েকশ মানুষ প্রতিমার গহনা থেজে পুজোর সাজ সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিমার মুকুট,  গহনা, পোষাক থেকে ফুলঘর, চাঁদমালা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র অর্ডার নিয়ে তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। হাতে সময় কম থাকায় রাত দিন করে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা।

কাঁচামালের দাম বাড়লেও বাড়েনি তৈরি জিনিসের দাম। আগের থেকে লাভ খুব কম হচ্ছে। কেউ ২৫ বছর আবার কেউ ৩০ বছর ধরে এই পেশাকে আঁকড়ে রয়েছে। কাজ করে মনে আনন্দ পাওয়া যায় তাই এখনো কাজ করে চলেছেন অনেকেই। প্রতিমার সাজ ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার দামে রয়েছে। সেই সাথে ফুলঘর,  চাঁদমালা, মালা সাইজ অনুপাতে দম রয়েছে। সারা বছর টুকটাক আর্ডার আসে। কিন্তু পুজোর সময় অর্ডার অনেক বেড়ে যায়। বিশ্বকর্মা থেকে শুরু করে দূর্গা, লক্ষ্মী, কালী, জগদ্ধাত্রী পুজো প্রতিমার সাজ যোগান দিতে এখন থেকে কাজ শুরু শিল্পীদের।



বয়স্ক মহিলা বাসন্তী ও বিশ্বনাথ মালাকাররা জানান, বর্তমান সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আমাদের তৈরির জিনিসের সেইভাবে দাম বাড়েনি।


দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় রয়েছি। তাই এখনো কাজ করে চলেছি। বাড়ির কাজের সাথে সাথে কাজটি করা হয়। ভালো লাগে  তাই এখনো চালিয়ে যাচ্ছি।

করোনার প্রকোপে গত দুবছর একটু খারাপ সময় গেলেও এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। তাই এখন পুরোদমে কাজ চলছে মালাকার পাড়ায়।