উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাইতো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষার শুরু হয় বাংলার নানা প্রান্তে…
উৎসব ছাড়া বাঙালির জীবন কেমন জানি অসম্পূর্ণ বলেই মনে হয়। তাইতো বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো। সাধারণত রথের দিন থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসবের অপেক্ষার শুরু হয় বাংলার নানা প্রান্তে। তাই এই পুজোর জন্য সারাটা বছর ধরে দিন গুনতে থাকেন প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন পূজার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ইতিহাস বিজড়িত রাজবাড়ীর ময়দানে মঙ্গলবার সকালে গণেশ চতুর্থীর পূর্ণ লগ্নে অনুষ্ঠিত হলো দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো। এবছর এই পুজো ১৫ তম বর্ষে পদার্পণ করে।
পুজোর কয়েকটা দিন পূজো ছাড়াও আয়োজন করা হয় বস্ত্রদান, সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির। ইতিহাস বিজড়িত এই তমলুক শহরের রাজবাড়ির প্রাচীন পুজোর ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলে এই পুজো, বিগত কয়েক বছর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ, রাজ্য সরকার এই পুজোকে প্রাচীন পুজো স্বীকৃতি দিয়েছে, ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে প্রাচীন পুজোর স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এমনটাই জানান আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক তথা তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। এদিনের এই খুঁটিপূজা অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান লীনা মাভৈ রায় সহ একাধিক কাউন্সিলর ও পুজো কমিটির সদস্য সদস্যরা। খুঁটি পূজা উপলক্ষে সমস্ত মানুষদের মিষ্টিমুখ করানো হয় পুজো কমিটির তরফ থেকে।