Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুকে রাবণ বধ অনুষ্ঠান

অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: দশমীতে চোখের জলে মাকে বিদায় জানানোর দিন। দিনটি আবার অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ বিজয়দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে যেদিন রাবণ দহন বা রাবণ বধ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে।সার…


অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: দশমীতে চোখের জলে মাকে বিদায় জানানোর দিন। দিনটি আবার অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ বিজয়দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে যেদিন রাবণ দহন বা রাবণ বধ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে।সারা দেশে দশেরা পালন হয় নানা রীতিতে। রাবণের দশটি মাথাকে মানুষের দশটি খারাপ মানসিকতার তুলনা করা হয়। যেমন রাগ, লোভ, হিংসা, অহংবোধ, অসহিষ্ণুতা, অসংবেদনশীলতা, ভয়, ঘৃণা, অনুশোচনা, লালসা। এই খারাপ স্বভাবগুলির বিনাশসাধনের প্রতীকই রাবণ দহন। আরেকটি মত অনুসারে মনে করা হয়, ৯ দিন টানা মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর এদিনই তাকে বধ করেছিলেন মা দুর্গা। আবার এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ত্রেতা যুগে রাবণের বিরুদ্ধে রামের জয়ের কাহিনিও।

 রাবণ বধের কাহিনীকে কেন্দ্র করে আজ তমলুক পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ‘রাধাবল্লভপুর দুর্গোৎসব কমিটি'র আয়োজনে রাবণ বধ উৎসব পালিত হলো রাধাবল্লভপুর ফুটবল ময়দানে। এ বছর ছিল কমিটির রাবণ বধ উৎসবের নবমতম বর্ষ। এছাড়াও ছিল আলো বাজির প্রদর্শন। এদিন রাবণ বধ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন তমলুক থানার এ এস আই জগন্নাথ দাশ, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রশান্ত মাভোই, মানিক চক্রবর্তী, শিক্ষক শৈবাল বিশ্বাস, বাবুলাল বিশ্বাস সহ বিশিষ্ট জনেরা।

 এই দিন মা দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়ার রীতি অনুযায়ী  বিবাহিত মহিলারা দেবী দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বরণ করার পর নিজেরা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন ৷একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান৷ সমগ্র উৎসবটি নাচ, গানে, আনন্দে উদযাপিত হয় ৷