। মুক্ত চেতনায় ।।✍ সুপ্রিয় ঘোষ২৬/১২/২০২৩
ছন্দহারা জীবনের গোধূলিতেভেবেছিলাম, একনিষ্ঠ চোখ রেখেঅপ্রতিভ চেতনাগুলোকেসমাধিস্থ করে দেব।ধুয়ে দেব, প্রতীক্ষার পাটাতন।মুছে যাবে, বস্তুসঙ্গতির প্রসব যন্ত্রণা,যা’নাকি এতদিন,আকাঙ্ক্ষার নিরবিচ্ছ…
। মুক্ত চেতনায় ।।
✍ সুপ্রিয় ঘোষ
২৬/১২/২০২৩
ছন্দহারা জীবনের গোধূলিতে
ভেবেছিলাম, একনিষ্ঠ চোখ রেখে
অপ্রতিভ চেতনাগুলোকে
সমাধিস্থ করে দেব।
ধুয়ে দেব, প্রতীক্ষার পাটাতন।
মুছে যাবে, বস্তুসঙ্গতির প্রসব যন্ত্রণা,
যা’নাকি এতদিন,
আকাঙ্ক্ষার নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ হয়ে
আত্মসাৎ করে দিচ্ছিল,
জীবনের সকল অদেয় ঋণ।
তাই আজ হ’ল জমায়েত, কোষে কোষে,
প্রত্নজীবনের নকশার ভয়ঙ্কর বিষে।
আর, একাকাশ অজস্র নক্ষত্র সাক্ষী রেখে,
ডুবলাম, অন্ধকার সমুদ্রের বুকে।
ক্রমাগত, লক্ষ লক্ষ পাশে
মনসার সব অনুচর
বেষ্ঠিল প্রতিটি রন্ধ্র, অসহ্য যন্ত্রণার আবেশে,
পরতে পরতে বাড়াল – আর্ত হাহাকার।
এমন সময়,
প্রহরী এক ঐন্দ্রজালিক মোহময়,
সূচনার অন্বিষ্টে ছুটে আসে,
যেন এক যুগনগ্ধ মূর্তি,
দেখায় আলোর ব্যাপ্তি,
যন্ত্রণানিবদ্ধ জীবনের মর্মমূল থেকে,
ইতিবাচক আলোর নিয়ত প্রকাশক, যেন।
তারপরই জাগ্রত হ’ল মনন, এ হেন,
এ স্থবিরতা, এ ধূসরতা, চিরস্থায়ী নয় –
আছে যে মুক্তিরই আভাস –
সে মৃত্যু নয়, জীবনেরই বিশ্বাসে,
এক অলখের স্পন্দিত স্পর্ধায়।
দেখলাম, তার দুর্নিবার গতি,
দুর্লঙ্ঘ আত্মতায় বহমান, ফল্গুধারাটি,
জীবনকে করেছে অর্থবহ।
এখনও অক্ষুন্ন তার সেই অনুভূতি-
বর্ণময়, প্রাণময় ; অখণ্ডিত প্রমিতিও
মানবিক কাঠামোয় যে ঋদ্ধমান,
সংহত সংবেদী আবেগে বিদ্যমান, এখনও।
আর হয়নি আমার,
ছদ্মবাস্তবের প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া।
@সু, কোলকাতা