Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গাছে জল সিঞ্চন করে শুরু হোল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

সোমবার তথা ২২ জানুয়ারি সন্ধেতে মেদিনীপুর শহরে শুরু হল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। 'মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি'র উদ্যোগে ও 'কলকাতার ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-র সহযোগিতায় এই উৎসব। …



সোমবার তথা ২২ জানুয়ারি সন্ধেতে মেদিনীপুর শহরে শুরু হল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। 'মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি'র উদ্যোগে ও 'কলকাতার ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-র সহযোগিতায় এই উৎসব। গাছে জল সিঞ্চন করে উৎসবের শুভ সূচনা করেন জ্বলদর্চি পত্রিকার সম্পাদক, কবি ঋত্বিক ত্রিপাঠী। 



উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্তকুমার চক্রবর্তী, শিশুবিশেষজ্ঞ ডাঃ বিবেকবিকাশ মণ্ডল, ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি সিদ্ধার্থ সাঁতরা, সম্পাদক সত্যজ্যোতি অধিকারী প্রমুখ।


উল্লেখ্য মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে রয়েছে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির নিজস্ব দপ্তর ও প্রায় ৫০০ দর্শক-আসন যুক্ত প্রেক্ষাগৃহ। ওখানেই সিনেমাপ্রেমীরা নিয়মিত মিলিত হন, সিমেনা দেখেন ও সিনেমা নিয়ে চর্চা করেন।


সংস্থার কার্যকরী সভাপতি সিদ্ধার্থ সাঁতরা  জানান, "এবারের উৎসবে বাংলা ছাড়াও জার্মানি, পর্তুগাল, মিশর ইত্যাদি দেশের সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের মননশীল চর্চার লক্ষ্যে ১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠে এই মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি।"



সংস্থার সম্পাদক সত্যজ্যোতি অধিকারী তাঁর স্বাগত অভিভাষণে তুলে ধরেন এই উৎসবের গুরুত্ব। তিনি জানান, "নতুন প্রজন্মের কাছে দেশবিদেশের ভালো ভালো সিনেমা তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি  প্রকাশিত হয়েছে আমাদের 'প্রতিবিম্ব' পত্রিকার হীরকজয়ন্তী বর্ষের বিশেষ সংখ্যা। এই ধরনের সোসাইটির লক্ষ্য কী! মূল লক্ষ্য হল দেশ বিদেশের ভালো সিনেমা দর্শকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া, সিনেমা নিয়ে আলোচনা, সেমিনার,  সিনেমা বিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ ইত্যাদি। "



এদিন উৎসবের শুভারম্ভ করে ঋত্বিক ত্রিপাঠী জানান, "কবিতার সঙ্গে সিনেমার নিবিড় যোগ। সেই কবিতা ভালো, যা পাঠক হিসাবে আমাকে ভাবনার স্বাধীনতা দেয়। সেই সিনেমা ভালো, যা আমাকে দর্শক হিসাবে নিছক জ্ঞান ও বিনোদন দেয় না—স্বাধীন চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে নিরপেক্ষতা দেয়। কবিতার স্থির চিত্রকল্প সিনেমায় গতিশীল। কবিতা একাকীত্বের শামিয়ানা। সহৃদয় পাঠকের মাধ্যমে সেই একাকিত্বের ফুলে ঘটে নীরব পরাগমিলন। আমাদের কী সুখ কী দুঃখ — আর একক থাকে না। সিনেমার মাধ্যমেও আমরা ভাবমোক্ষণ করি। সিনেমা চলমান দৃশ্যকাব্য। দৃশ্য ও শ্রাব্যের মাধ্যমে আমরা সহজেই ঢুকে পড়ি চরিত্রের মধ্যে। তাই কবিতা ও সিনেমা দুই ভিন্ন মাধ্যম হলেও লক্ষ্য এক। সিনেমা ও কবিতা একই সঙ্গে নির্মাণ করে প্রতিবাদ ও নির্জনতা। কবিতা ও সিনেমায় পাই একক ও বহুত্বের মেলবন্ধন। উভয়েরই অস্ত্র ব্যঞ্জনা। সেই ব্যঞ্জনাকে আশ্রয় করে আমরা পাই সসীম-অসীমের রূপ-অরূপ।"


তিনি আরও জানান, "শিক্ষক-শিক্ষার্থী যেমন পান ক্লাশরুম, দর্শকরা তেমনি পান সিনেমার প্রেক্ষাগৃহ। দুই-ই পাঠশালা— যেখানে নিজেকে ঋদ্ধ করা যায়। স্বাভাবিক কারণেই  সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠলো সিনেমা। ফিল্ম সোসাইটির এই সামাজিক কর্তব্যের কথা অস্বীকার করা যায় না।" সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন অনামিকা তেওয়ারী।