Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তোড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর......পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ২ নং শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাধীন কেশপুর-১ চক্রের তোড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে দুদিনের প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হলো মহা…



নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর......পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ২ নং শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাধীন কেশপুর-১ চক্রের তোড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে দুদিনের প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হলো মহাসমারোহে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে বর্ণাঢ্য  শোভাযাত্রা,জাতীয় পতাকা ও প্লাটিনাম জয়ন্তীর পতাকা উত্তোলন,প্রদীপ প্রজ্বলন ও শঙ্খধ্বনির  মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার জানা। এদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যাসাগর ও রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হয়।বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরূপ মাঝি জাতীয় উত্তোলন করেন তোড়িয়া উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল গুড়ে।


প্লাটিনাম জয়ন্তীর পতাকা উত্তোলন করেন উৎসব সমিতির সভাপতি রাক্তনী তথা প্রাক্তন শিক্ষক লক্ষ্মীনারায়ণ নাগা।

 বিদ্যালয়ের 'থিম সঙ'  কথা সুর দিয়ে পরিবেশন করেন শিক্ষক উদয়শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়।সকল অতিথিদের উপস্থিতিতে প্লাটিনাম জয়ন্তী স্মরণিকা পত্রিকা 'উন্মেষ"  প্রকাশিত হয়।উন্মোচন করেন তোড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ প্রসাদ চৌধুরী।প্রাক্তনীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অরূপ মাঝি।

প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন গরাই, প্রাক্তন কৃষি কর্মাধক্ষ্য আনন্দ গরাই, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রামতনু প্রামানিক,প্রাক্তন শিক্ষক  শিক্ষক মাণিকলাল সেনগুপ্ত, রবীন্দ্র মূর্তি দাতা মহাদেব প্রামাণিক, বিদ্যাসাগরের মূর্তিদাতা পরিবারের সদস্য গগন মাঝি, তোড়িয়া গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভানেত্রী রীতা বড়দোল‌ই প্রমুখ।


অনুষ্ঠানটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে কেশপুর-১ চক্রের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন‌।সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের

বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপিত করেন। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় নাটক 'অবাক জলপান'। নাটকের নির্দেশনা, আবহে ছিলেন শিক্ষক দীপঙ্কর শীট। এদিন

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞন মঞ্চের যুক্তিবাদী অনুষ্ঠান, কথা বলা পুতুল ও ম্যাজিক শো পরিবেশিত হয়। মনোজ্ঞ নৃত্যের অনুষ্ঠান পরিচালন করেন নৃত্যশিল্পী বৈশাখী চক্রবর্তী ও পাপিয়া দোল‌ই। প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে ৪ জন মহিলা সহ ৩৭ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। রক্ত সংগ্রহ করেন ঝাড়গ্রাম ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ স্বামী জিষ্ণুদেবানন্দ মহারাজ 'মোটিভেশনাল' বক্তব্য রাখেন। এদিনে জমজমাট কুইজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত করেন দেবযানী রায়, দীপেশ দে ও দীপশ্রী দে। নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনা করেন অভিজিৎ পিরি।প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানের সভাপতি লক্ষ্মীনারায়ণ নাগা জানান," মাত্র ১ মাসের প্রস্তুতিতে এই আয়োজন। এলাকার  সমস্ত মানুষের আর্থিক ও দৈহিক শ্রমে এমন আনন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।।" বিদ্যালয়ের নবীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার জানা ও  তাঁর দুই সহকারী শিক্ষক সেক মুশারফ আলি ও সুশান্ত পাখিরা এবং গ্রাম শিক্ষা কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে নিয়ে এই রকম একটি সর্বাঙ্গ সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক,রক্তদান আন্দোলন কর্মী স্নেহাশিস চৌধুরী, শিক্ষক দীপঙ্কর শীট ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুমনা ডগরা।