সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
জীবনে বসন্তকৌশিকী (৬/৩/২৪)
ফাল্গুনী মধুর দিনরাত্রির অবসানেঋতু সদ্য চৈত্র দিনেপা রেখেছে, সময় মধ্য দুপুর।ট্রেনের কামরাটা উত্তপ্তএকঘেয়ে বিরক্তি আর ঝিমুনিতে ভরে আছে।
ঘটর ঘটর শব্দে একটা ছোটো অনামী স্টেশনে থামলো…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
জীবনে বসন্ত
কৌশিকী (৬/৩/২৪)
ফাল্গুনী মধুর দিনরাত্রির অবসানে
ঋতু সদ্য চৈত্র দিনে
পা রেখেছে, সময় মধ্য দুপুর।
ট্রেনের কামরাটা উত্তপ্ত
একঘেয়ে বিরক্তি আর
ঝিমুনিতে ভরে আছে।
ঘটর ঘটর শব্দে
একটা ছোটো অনামী স্টেশনে
থামলো আধা যাত্রী বোঝাই
দূরপাল্লার লোকালটা
একটু ব্যস্ত পায়ে
গোটা দশেক যাত্রীর দলটি
উঠে পড়লো
প্রায় খালি কামরাটায়।।
কি যেনএকটা
আনন্দ আর উত্তেজনা
বয়ে এনেছে দলটা।
এতক্ষণ ঝিম মেরে থাকা
কম্পার্টমেন্টের কতিপয়
যাত্রী ও যেন একটু
সজাগ সচেতন।
দু এক মূহুর্তেই বোঝা গেলো
সদ্য গাঁটছড়া বাঁধা জুটি
বিবাহ পরবর্তী অষ্টমঙ্গলা
সেরে ফিরতি পথ ধরেছে।
তাদের ফিরিয়ে দিতে চলেছে
মেয়ের কিছু আত্মীয় বন্ধু।
বেশ ভুষা আচরণ বুঝিয়ে দেয়
নিতান্ত ছাপোষা গ্রাম্য পরিবার
তবু নতুন জীবনের আনন্দ
উত্তেজনা ছু্ঁয়ে দিয়ে যায় পুরো পরিবেশ
মেয়েটি বসে জানলা ঘেঁষে
অন্ধকারের সঙ্গে প্রায় মিশে যাওয়া রঙের অসুন্দর মেয়েটার দিকে
চোখ পড়ার বিশেষ কারণ নেই,
তবু এ মূহুর্তে মেয়েটি
তার জীবনের সবচেয়ে
সুন্দর সময়ের নায়িকা
তাই কালো শরীর জড়িয়ে থাকা
উজ্জ্বল হলুদ শাড়ি
কপালে ছড়িয়ে থাকা লালসিঁদুর
আর লজ্জাঘণ সতঃস্ফূর্ত হাসি
সবার চোখ বার বার টেনে নিচ্ছে।
মেয়েটির গা ঘেঁষে বসা
ছেলেটির মুগ্ধতাও দৃষ্টি এড়ায় না
ট্রেণের হুইসেলের সঙ্গে তাল
রেখে ডেকে ওঠে একটা কোকিল।
এরই নাম বোধহয় প্রেম
দৃষ্টি মুগ্ধ হয়
মনের জমি উদাস হয়
এই জন্যই প্রকৃতি সাজায়
তার অনন্ত রূপ সৌন্দর্যের আসর..।