অরুন কুমার সাউ, তমলুক: প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে 'একান্তিকা' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আজ ১৫ ই সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে তমলুকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির হলরুমে অনুষ্ঠিত হলো ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদ…
অরুন কুমার সাউ, তমলুক: প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে 'একান্তিকা' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আজ ১৫ ই সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে তমলুকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির হলরুমে অনুষ্ঠিত হলো ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অঙ্গ হিসেবে ছিল শিক্ষামূলক বিভিন্ন মডেল প্রদর্শনী। এই অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের হাতে তৈরি করা শিক্ষামূলক মডেল প্রদর্শন করে। ২০২৩ সাল থেকে এই শিক্ষাসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। দ্বিতীয় বর্ষের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষারত্ন বিধান সামন্ত, শিক্ষক অভিজিৎ চক্রবর্তী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সমরেশ সামন্ত, প্রাক্তন সেনাকর্মী ভীমচরণ দাস, আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক ও শিক্ষক জয়দীপ পন্ডা, ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আতিয়ার রহমান, নিমাই চরণ ঘোড়াই, বামাপদ ঘোড়াই, রাজীব ব্যানার্জি, শিক্ষক কমল ঘোড়াই, শিক্ষক সুবীর চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিরা । সম্মানীয় শিক্ষক বিধান সামন্ত এদিন অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধের শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। শিক্ষক অভিজিৎ চক্রবর্তী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বলেন, “বর্তমান সমাজে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে এই অবক্ষয় রোধ করার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক শিক্ষায় অনেক বেশি শিক্ষিত হতে হবে"। ‘একান্তিকা' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ভবানী চরণ মাইতি বলেন, “গত বছর থেকে আমরা এই শিক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই অঞ্চলের মেধাবী দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মূলত এই শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হাতে- কলমে শিক্ষাকে আরো বেশি কার্যকরী করে তোলবার জন্য মডেল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এদিন মডেল প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। ডিমারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলেন "নিজেদের হাতে তৈরি করা এই মডেল সবার সামনে দেখাতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত। আগামী বছর আরো ভালো বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল তৈরি করার পরিকল্পনা এ বছর থেকে শুরু করব"।