নিজস্ব প্রতিবেদক, খড়্গপুর : অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজ খড়্গপুর কলেজ।খড়্গপুর কলেজের বৃহৎ ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে প্রায় ১৪০টিরও বেশী উদ্ভিদ। এতদিন পর্যন্ত প্রত্যেকটি উদ্ভিদের গায়ে লাগানো ছিল থাকতো ছোট ছোট প্…
নিজস্ব প্রতিবেদক, খড়্গপুর : অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজ খড়্গপুর কলেজ।খড়্গপুর কলেজের বৃহৎ ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে প্রায় ১৪০টিরও বেশী উদ্ভিদ। এতদিন পর্যন্ত প্রত্যেকটি উদ্ভিদের গায়ে লাগানো ছিল থাকতো ছোট ছোট প্লেট।
যাতে গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম,লোকাল নাম ও ফ্যামিলি নাম উল্লেখ থাকতো। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি গাছকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সাজানোর কাজ শুরু হলো। এইবার থেকে প্রত্যেকটি উদ্ভিদের গায়ে থাকবে একটি করে কিউআর কোড, যা স্ক্যান করলেই গাছটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চলে আসবে মোবাইলে,যেমন গাছটির নাম থেকে শুরু করে ওষুধি গুণাগুণ সবটাই।আর এই পুরো কাজটি যিনি করেছেন, তিনি হলেন এই কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হ্যাপি দাস। এর আগে উনি কলেজ ক্যাম্পাসের গ্রীন অডিটও করেছিলেন। অধ্যাপক দাস বলেন, তিনি তাঁর বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় তিনি এই কাজ গুলি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। কলেজ ক্যাম্পাসে যেমন রয়েছে অশোক, হলুদ পলাশের মতন বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ, রয়েছে অর্জুন, হরিতকীর মতন গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধি উদ্ভিদ,আর তেমনই রয়েছে সেগুন, মেহগনির মতন অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ। খড়গপুর কলেজ ক্যাম্পাসের উদ্ভিদ নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি রিসার্চ আর্টিকেলও প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক দাস।
কিউআর কোড স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিদ্যুৎ সামন্ত, খড়গপুর কলেজ টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক ড.রাখাল চন্দ্র ভূঁইয়া, অধ্যাপক হ্যাপি দাস, ঝাড়গ্রামের কাপগাড়ী সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপিকা পম্পি ঘোষ সহ উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। হ্যাপি বাবুর এই উদ্যোগে খুশি কলেজে অধ্যক্ষ সহ গোটা কলেজ কর্তৃপক্ষ। খুশি ছাত্রছাত্রীরাও।