অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া: বিভিন্ন সময় নারীর উপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ঘটনা- যা সমাজের কাছে লজ্জার। পুরুষের বন্য কামনার শিকার হতে গিয়ে নারী তার সম্মান, সম্ভ্রম , অধিকার হারাচ্ছে। মনুষ্য সমাজের কাছে নারীর সম্মান রক্ষা করতে না প…
অরুণ কুমার সাউ, পাঁশকুড়া: বিভিন্ন সময় নারীর উপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ঘটনা- যা সমাজের কাছে লজ্জার। পুরুষের বন্য কামনার শিকার হতে গিয়ে নারী তার সম্মান, সম্ভ্রম , অধিকার হারাচ্ছে। মনুষ্য সমাজের কাছে নারীর সম্মান রক্ষা করতে না পারাটা অনেক অপমানের ও পীড়াদায়ক।
সামাজিক- রাজনৈতিক অবক্ষয়ের সামনে কখনো কখনো নারী ভোগ্যপণ্য হয়ে যাচ্ছে। পুরুষের কামনার কাছে নারীকে হার মানতে হয়। একজন শিল্পী হিসেবে সমাজের বিবেককে জাগ্রত করা কর্তব্য। এই রূপ দায়বদ্ধতা থেকে শিল্পী অশোক মাইতি তার রং তুলিতে প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তুলেছেন। একজন সজাগ শিল্পী মনের পরিচয় দিয়েছেন ছবিগুলির মাধ্যমে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে শিল্পের মৌলিক ভাষা ছবিগুলির মধ্যে ফুটে উঠেছে। গতকাল কলকাতার একাডেমির ওয়েস্ট গ্যালারিতে তার প্রথম একক প্রদর্শনী শুরু হলো। গ্রাফিক আর্টের ১৬ টি ছবিতে তিনি সাম্প্রতিক সমাজ ও নারীর প্রতি দুর্ব্যবহারের কথা তুলে ধরেছেন। এই প্রদর্শনী চলবে ১৭ই জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত বহরগ্রাম এর বাসিন্দা অশোক মাইতি। শিল্পী ছোটবেলা কেটেছে গ্রামের বাড়িতেই। এরপর গ্রাফিক আর্ট নিয়ে একাডেমি অফ ফাইন আর্ট থেকে ডিপ্লোমা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “রাজ্য চারুকলা পর্ষদ" ও ভারত সরকারের “ডিপার্টমেন্ট অফ কালচার”- থেকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি কোন চাকরি না করে প্রাণ ভরে ছবি এঁকে যান।
শিল্পী অশোক মাইতি বলেন, “নারী সৌন্দর্য ও ভালবাসা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই নারীকেই লোভের ও ভোগের শিকার হতে হয়। তা সুন্দর চোখে সভ্যতাকে নষ্ট করে ফেলা হয়। আর ভালোবাসাকে অসম্মানিত করা হয়। সেই সব দুঃখ জনক ঘটনা গুলোর দাগ পরে কাঠের, পাথরের, ধাতুর ফলোকে তারই ছাপ বহন করে চলেছে আমার এই ছবিগুলি।