অরুণ কুমার সাউ, কোলাঘাট : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াল কোলাঘাট সংকেত ক্লাব। এই পূজার মাস থেকে আগামী এক বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী পূজা পর্যন্ত, জেলার বিভিন্ন ব্লকের যক্ষ্মা রোগীদের প্…
অরুণ কুমার সাউ, কোলাঘাট : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়াল কোলাঘাট সংকেত ক্লাব। এই পূজার মাস থেকে আগামী এক বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী পূজা পর্যন্ত, জেলার বিভিন্ন ব্লকের যক্ষ্মা রোগীদের প্রতি মাসে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। এই কর্মসূচির জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কোলাঘাটের নতুন বাজারে অবস্থিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তিটি জাতীয় যক্ষ্মা রোগ নির্মূলীকরণ কর্মসূচির অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। এই মহৎ উদ্যোগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিভাস রায়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়েই এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়, যেখানে সি.এম.এইচ.ও এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংকেত ক্লাবের সহ-সভাপতি শ্যামল আদক এই বিষয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগীকে এই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্ধারিত মান ও পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিটি প্যাকেটে এক মাসের জন্য প্রয়োজনীয় সরিষার তেল, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন, রাজমা, সুজি, চিনি ইত্যাদি সামগ্রী থাকবে। শ্যামল আদক আরও বলেন, "আমরা সারা বছর আর্ত ও মুমূর্ষু মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ করে থাকি। এই উদ্যোগ তারই একটি অংশ। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে।"
এই ধরনের উদ্যোগগুলি যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিহীনতা যক্ষ্মারোগের অন্যতম প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। তাই, চিকিৎসার পাশাপাশি সঠিক পুষ্টির ব্যবস্থা করা রোগীদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য অপরিহার্য। কোলাঘাট সংকেত ক্লাবের এই মানবিক পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং যক্ষ্মা নির্মূলীকরণের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।