Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

'জিলিপি সংখ্যা' নিয়ে ষোড়শ বর্ষে পদার্পণ 'পুণ্যিপুকুর' পত্রিকার

অরুণ কুমার সাউ,পাঁশকুড়া: মহাষষ্ঠীর পুণ্য দিনে জিলিপির মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠল পাঁশকুড়ার হাউর। লোকসংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা বহুল পরিচিত পত্রিকা 'পুণ্যিপুকুর'-এর 'জিলিপি সংখ্যা' প্রকাশিত হলো মহাষষ্ঠীর দিন। ষোড়শ বর্ষে পদ…


অরুণ কুমার সাউ,পাঁশকুড়া: মহাষষ্ঠীর পুণ্য দিনে জিলিপির মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠল পাঁশকুড়ার হাউর। লোকসংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা বহুল পরিচিত পত্রিকা 'পুণ্যিপুকুর'-এর 'জিলিপি সংখ্যা' প্রকাশিত হলো মহাষষ্ঠীর দিন। ষোড়শ বর্ষে পদার্পণ করা এই পত্রিকার এবারের শারদীয়া সংখ্যাটি আবর্তিত হয়েছে বাঙালির প্রিয় মিষ্টি 'জিলিপি'-কে কেন্দ্র করে।পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যাটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার হাউর রেলস্টেশনের কাছে অবস্থিত "ভৌমিক মিষ্টান্ন ভান্ডার"-এ। এই মিষ্টান্ন ভান্ডারটি বিগত ৫০ বছর ধরে তাদের মুগের জিলিপি-র জন্য সুপ্রসিদ্ধ। জিলিপি তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করা এই দোকানেই একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ হওয়ায় আয়োজনটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ভাস্করব্রত পতি। তিনিই জানান, জিলিপি নিয়ে এই প্রথম এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বাঙালির লোকসংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও খাদ্যাভ্যাসে জিলিপির যে এক বিশেষ স্থান রয়েছে, সেটাই এই সংখ্যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

৯০ পাতার এই বিশেষ সংখ্যাটি জিলিপি-প্রেমী এবং গবেষকদের কাছে এক মূল্যবান সংকলন। এতে রয়েছে জিলিপি নিয়ে লেখা প্রবন্ধ, অনুগল্প, ছড়া-র সম্ভার। এছাড়াও সংযুক্ত করা হয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন জিলিপি তৈরির রেসিপি। শুধুমাত্র এদেশের নয়, এতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জিলিপির ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে, এরাজ্যের বিভিন্ন এলাকার প্রসিদ্ধ জিলিপি-র কথাও উঠে এসেছে এই সংখ্যায়। সাহিত্যের আঙিনা থেকে শুরু করে ইতিহাস, পুষ্টিগুণ সহ জিলিপি বিষয়ক নানা তথ্য সংযুক্ত করে সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। 'পুণ্যিপুকুর' পত্রিকার এই বিশেষ সংখ্যার শুভ উদ্বোধন করেন মুগের জিলিপি তৈরির প্রসিদ্ধ কারিগর বিশ্বনাথ ভৌমিক। ভিন্ন স্বাদের পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট জন অহিভূষণ পাত্র, শান্তনু অধিকারী, আলোক মাইতি, সৌমিত্র মান্না প্রমুখ।


পত্রিকাটিতে যারা লিখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, শিশিরকুমার নাথ, প্রদীপ আচার্য, সোমা মুখোপাধ্যায়, শান্তনু অধিকারী, দিগন্ত মান্না, নরসিংহ দাস, তুফান মণ্ডল, দেবব্রত দত্ত, দেবাশিস দণ্ড, সন্দীপ দে, ত্রিপর্ণা পতি এবং কেশব মেট্যা। দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদটি করেছেন শিল্পী নরসিংহ দাস।