অরুণ কুমার সাউ, তমলুক : নাটকের আলোয় আলোকিত হলো তমলুক। রবিবার তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে শুরু হলো তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী ৩৬তম নাট্যোৎসবের প্রথম পর্ব। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাট্য আকাদেমির সহযোগিতায় এই বর্ণাঢ্য …
অরুণ কুমার সাউ, তমলুক : নাটকের আলোয় আলোকিত হলো তমলুক। রবিবার তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে শুরু হলো তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী ৩৬তম নাট্যোৎসবের প্রথম পর্ব।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাট্য আকাদেমির সহযোগিতায় এই বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হল। সুস্থ সংস্কৃতির বার্তা নিয়ে মোট চারটি নাটক দিয়ে সাজানো ছিল আয়োজন।
উৎসবের প্রথম দর্শনেই মঞ্চস্থ হয় মহেশতলা ‘অন্বেষক'-এর নাটক ‘অসময়ের গল্প'। এরপর একে একে মঞ্চ মাতায় লক্ষ্যা শিল্পকথা নাট্য দলের পরিবেশনা 'ভাইরাল', পাঁশকুড়া বিবর্ণ প্রেক্ষাপটের নাটক ‘আদাব' এবং হলদিয়ার প্রতিধ্বনি নাট্য দলের নাটক ‘পৌনঃপুনিকতা'।
প্রতিটি নাটকই বিষয়বস্তুর গভীরতা এবং নাট্যশিল্পীদের সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ করে উপস্থিত দর্শকদের। শুধুমাত্র নাটকই নয়, নাটকের ফাঁকে ছিল বাড়তি আকর্ষণ। তমলুক শহরের সুপরিচিত দুই নৃত্যশিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী ও তন্দ্রিমা অধিকারীর নেতৃত্বে এক মনমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের শৈল্পিক নৃত্যকলা উৎসবের মঞ্চে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।এদিনের অনুষ্ঠানে তমলুকের সুস্থ সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন বহু গুণী দর্শক উপস্থিত ছিলেন। 'আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাব'-এর এই নাট্যোৎসব তমলুক তথা সমগ্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নাট্যপ্রেমীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যা প্রতি বছরই নতুন প্রতিভাকে তুলে ধরার পাশাপাশি দর্শকদের কাছে মানসম্মত নাটক পৌঁছে দেয়।
নাট্যোৎসবের এই প্রথম পর্বের সফল সূচনা আগামী দিনগুলির জন্য আশার সঞ্চার করল। তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা সুব্রত ঘোষ জানান - সংস্থার দ্বিতীয় পর্বের নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর চার দিনব্যাপী। এই নাট্য উৎসবে সারা বাংলার মোট ১৬ টি নাটক দল তাদের সেরা নাটকগুলি মঞ্চস্থ করবে।


