তমলুক , কাজল মাইতি, দেশ মানুষ: নাগরিক পরিষেবা আরও দ্রুত ও সুনিশ্চিত করতে এবার কলকাতা পুরসভার পথেই হাঁটল ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত পুরসভা। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ সরাসরি শুনতে এবং দ্রুত তার প্রতিকারের লক্ষ্যে চালু করা হলো ‘হ্যালো চেয়…
তমলুক , কাজল মাইতি, দেশ মানুষ: নাগরিক পরিষেবা আরও দ্রুত ও সুনিশ্চিত করতে এবার কলকাতা পুরসভার পথেই হাঁটল ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত পুরসভা। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ সরাসরি শুনতে এবং দ্রুত তার প্রতিকারের লক্ষ্যে চালু করা হলো ‘হ্যালো চেয়ারম্যান’ কর্মসূচি। মঙ্গলবার বিকেলে পুরসভার মহেন্দ্র স্মৃতি সদনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পুরসভার চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি চালু করেছিলেন। সেই মডেলের সাফল্য দেখেই এবার তাম্রলিপ্ত পুরসভা নিজেদের মতো করে এই পরিকল্পনা সাজিয়েছে। চঞ্চলবাবু জানান, কলকাতায় এই পরিষেবা দিয়ে ছোটখাটো বহু সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হতে দেখা গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তমলুকের পুরবাসীর স্বার্থে এই উদ্যোগ।
এক নজরে নতুন পরিষেবা:
হেল্পলাইন নম্বর: ৮৫৯৫১৩৩১৩৩
সরাসরি ফোন কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ।
বছরের ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা মিলবে।
প্রতি ১৫ দিন অন্তর পুরসভা থেকে সরাসরি লাইভ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
এ দিন পরিষেবার উদ্বোধনকালে চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একাধিক কাউন্সিলর ও শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা। উদ্বোধনের পর থেকেই সক্রিয় হয়েছে নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরটি।
চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়া বলেন, "পুরবাসীদের আর সমস্যার কথা বুকে চেপে রাখতে হবে না। পানীয় জল, স্ট্রিট লাইট বা সাফাই সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় সরাসরি ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করুন। আমরা সমাধানে বদ্ধপরিকর। এছাড়া ১৫ দিন অন্তর যে লাইভ প্রোগ্রাম হবে, সেখানে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও হাজির থাকবেন।"
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের মতে, ঐতিহাসিক এই শহরের নাগরিক পরিষেবাকে আধুনিক ও গতিশীল করতে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ইতিবাচক। সরাসরি প্রশাসনের শীর্ষস্তরে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।